দক্ষিন দিনাজপুর

প্রশাসনের নাকের ডগায় রমরমিয়ে চলছে কচ্ছপের মাংস বিক্রি

প্রশাসনের নাকের ডগায় রমরমিয়ে চলছে কচ্ছপের মাংস বিক্রি - West Bengal News 24

নিজস্ব সংবাদদাতা :: বহুদিন ধরেই গঙ্গারামপুরে একেবারে প্রশাসনের নাকের ডগায় বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবৈধভাবে কচ্ছপের মাংস বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ বারবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও কোনো ফল হয়নি৷ তবে কিছু সংখ্যক অসাধু কচ্ছপ ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও কিছু অজানা কারণে আবার তারা ছাড়াও পেয়েও গিয়েছেন৷

গঙ্গারামপুরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্য দিবালোকে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা কচ্ছপ কেটে বিক্রি করছেন৷ কিন্তু কি করে তারা দিনের আলোয় এই কাজগুলো করতে সাহস পায়? নাকি প্রশাসন সব জেনেও চুপ করে আছে৷ স্থানীয় বাসিন্দারা আরও অভিযোগ করে বলেন, রবিবার গঙ্গারামপুর শহরের শিববাড়ি হাট সবচেয়ে বড়ো হাট৷

আরও পড়ুন : কলকাতাকে দেশের রাজধানী করা হোক : মমতা

পাশাপাশি গঙ্গারামপুর থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে সোমবার নিউমার্কেটের হাট, এই দুই জায়গায় সপ্তাহে দুদিন প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কচ্ছপগুলোকে হত্যা করে শুধু মাত্র বেশি টাকার লোভে বিক্রি করে চলেছে৷ প্রশাসন কেন কিছু বলে না জানি না আমাদের মনে হয় পুলিশের সঙ্গে এইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের গোপন আঁতাত রয়েছে৷বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী হিসেবে বর্তমানে কচ্ছপের মাংস বিক্রি আইনত অপরাধ৷ কিন্তু তারপরেও প্রশাসনকে লুকিয়ে চলছে কচ্ছপের পাচার আর সেই কচ্ছপ কেটে দেদার মাংস বিক্রি৷ দক্ষিণ দিনাজপুরের বড়ো বড়ো হাটগুলি চোরাকারবারিদের মূল লক্ষ্য৷ বিহার থেকে বাংলাদেশে কচ্ছপ পাচার করার পথে পড়ছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট, কামারপাড়া, কুমারগঞ্জ, গঙ্গারামপুরের শিববাড়ি হাট ও সরাইহাট৷

এদিকে যত দিন যাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুরে কচ্ছপের মাংসের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে৷ এক কেজি কচ্ছপ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়, ফলে বেশি টাকা লাভের লোভে জেলায় বেশ বড় কারবার গড়ে উঠছে৷ বিহারের পূর্ণিয়া হয়ে ডালখোলা হয়ে রায়গঞ্জ হয়ে প্রতি সপ্তাহে দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরের সরাইহাট ও গঙ্গারামপুরের শিববাড়ি হাটে বস্তাবন্দী করে কচ্ছপ আনা হয়৷ ফলে বস্তাবন্দী অবস্থাতেই মারা যাচ্ছে ছোট বড় বহু কচ্ছপ৷

আরও পড়ুন : ‘মৃত ব্যক্তির বীর্যের অধিকার কেবল স্ত্রীরই’

অন্যদিকে এই বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীটি ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে পড়ছে৷ আইনত কচ্ছপ ধরা বা মারা দণ্ডনীয় অপরাধ৷ শুধুমাত্র প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণে প্রাণীটি অঘোরে মারা পড়ছে৷ স্থানীয়দের দাবি, অতিসত্বর এইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরে কঠোর শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি অবিলম্বে কচ্ছপের মাংস বিক্রি বন্ধ করা দরকার৷ নাহলে এই নিরীহ প্রাণীটি এই পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে৷

আরও পড়ুন ::

Back to top button