রাজ্য

পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম

পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম - West Bengal News 24

কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। শনিবার গভীর রাতে পুরসচিব খলিল আহমেদের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। ‘পুর প্রশাসক পদে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে রাখা চলবে না’ শনিবারই রাতে এ নির্দেশ দেয় ভারতের নির্বাচন কমিশন। এরপর এই পদ থেকে সরে গেলেন ফিরহাদ।

বিজেপির অভিযোগের জেরে শনিবার রাতে দেশটির নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দেয়, ২ মে পর্যন্ত কোনো পুরসভায় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা প্রশাসক থাকতে পারবেন না। সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে তাদের সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই নিজেদের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন পুর প্রশাসকরা।

২০২০ সালেই পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য পুরসভা নির্বাচন হয়নি। ফলে পুরসভাগুলোতে যারা মেয়র বা চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তাদের ওপরই ফের বর্তায় দায়িত্ব। কিন্তু ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই পদগুলো থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সরিয়ে সরকারি অফিসারদের নিয়োগ করার নির্দেশ দেয় কমিশন।

আরও পড়ুন :বসিরহাট তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন, প্রায় ৮০০ নেতাকর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

এও বলা হয়, সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে পুর প্রশাসককে সরিয়ে পুরসভার দায়িত্ব দিতে হবে মুখ্যসচিবকে। সেই প্রসঙ্গে কমিশনকে রিপোর্ট দেয়ার কথাও বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশিকা জারির পর পশ্চিমবঙ্গের ১১২টি পুরসভায় প্রশাসক বোর্ড ভেঙে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। তার মধ্যে রয়েছে কলকাতা পুরসভাও।

করোনা পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের বহু পুরসভা এবং পুরনিগমের নির্বাচন সময়মতো করানো যায়নি। যার ফলে মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে প্রাক্তন পুরবোর্ডের সদস্যদের। কিন্তু নাগরিক পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে পুরসভার কাজ পরিচালনা করার জন্য প্রশাসকমণ্ডলী তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার।

বিদায়ী মেয়র বা পুরপ্রধানদেরই সেই প্রশাসকমণ্ডলীর মাথায় বসানো হয়। বিদায়ী কাউন্সিলরদের ওই প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়। কলকাতা পুরনিগমের পুরপ্রশাসক পদে এতদিন অস্থায়ীভাবে নিযুক্ত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম।

আরও পড়ুন ::

Back to top button