আন্তর্জাতিক

২০২৪ সালের নির্বাচনেও প্রেসিডেন্ট দৌঁড়ে লড়বেন জো বাইডেন

২০২৪ সালের নির্বাচনেও প্রেসিডেন্ট দৌঁড়ে লড়বেন জো বাইডেন - West Bengal News 24

যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও লড়ার কথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, তিনি আশা করছেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবার প্রার্থী হবেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে নিজের এমন পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

বলেন, তখনও কামালা হ্যারিসকেই রানিংমেট হিসাবে রাখতে চান। জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেন বাইডেন। সংবাদ সম্মেলনে দেশের দক্ষিণ সীমান্তের অভিবাসী সমস্যা নিয়ে তাকে একের পর এক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।

ঘণ্টাব্যাপী প্রশ্নোত্তর পর্বে রীতিমতো প্রশ্নবাণে জর্জরিত বাইডেন সব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছ থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় সীমান্তে বাড়তে থাকা অভিবাসীদের চাপ বিশেষ করে শিশুদের অভিবাসনের ওপর গুরুত্ব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

এছাড়া চলমান করোনা সংকট থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুক সমস্যা, ভোটাধিকার ও পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন।

আরও পড়ুন : মেক্সিকোতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে

বিশ্বে করোনা মহামারীতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সংবাদ সম্মেলনে অনেকটাই গুরুত্ব পেয়েছে এ করোনা। করোনার টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন।

নিজের কার্যমেয়াদের প্রথম একশ’ দিনে দশ কোটি ডোজ দেওয়ার কথা বলে আসলেও এদিন তিনি বলেন, শততম দিনের আগেই ২০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে বাইডেন বলেন, আমেরিকার মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা হবে।

আগামী এক বছরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে উল্লেখ করেন।

তবে সংবাদ সম্মেলনে ঘুরে ফিরেই আসতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের অভিবাসন পরিস্থিতি। তবে সীমান্তের সমস্যার জন্য পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বলছে, বাইডেনের ক্ষমতায় আসার পর থেকে সীমান্ত পথে নথিপত্রহীন অভিবাসীদের আসা শুরু হয়েছে।

এ নিয়ে আমেরিকার রক্ষণশীল মহলের তোপের মুখে পড়েছেন বাইডেন। এ নিয়ে বাইডেনকে একহাত নিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।

গত সপ্তাহেই এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, বাইডেনের কোনো ধারণাই নেই, সীমান্তে কী হচ্ছে। ট্রাম্প সমর্থক ও অভিবাসীবিরোধীরা জোর গলায় বলতে শুরু করেছে, ‘আমেরিকা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে’। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি আটক কেন্দ্রে বর্তমানে ১৭ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।

বাইডেনের নীতির কারণে অভিবাসী শিশুদের যুক্তরাষ্ট্রে আগমন বাড়বে কিনা সেই চ্যালেঞ্জও রয়েছে। শিশুদের পিতা-মাতার সঙ্গে রাখার ব্যবস্থা করতে গিয়ে সীমান্ত উপচে উঠেছে।

দক্ষিণের সীমান্তে এসব অভিবাসী রাখার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। সবার জন্য আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য লোকবলও নেই। তবে বিরোধীদের এ সমালোচনার জবাবে এদিন বাইডেন বলেন, নতুন করে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। মহামারির কারণে লোকজনের আগমন আগে সীমিত ছিল।

আবহাওয়ায় উষ্ণতা আসার সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকামুখী লোকজনের যাত্রা বেড়েছে। মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে চরম অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। অপরাধ বেড়েছে। সুযোগ-সুবিধা কমে আসার কারণেও জনপ্রবাহ বেড়েছে।

সীমান্তে অভিবাসীদের সঙ্গে আসা শিশুদের প্রতি মানবিক আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বাইডেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সীমান্তের ওই সব এলাকায় সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকের প্রবেশ ঘটছে

আরও পড়ুন ::

Back to top button