দেশের তৈরি কোভ্যাক্সিন করোনার ‘ডবল মিউট্যান্ট’ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে, গবেষণায় দাবি ICMR এর
ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনার (Second wave corona) দ্বিতীয় ঢেউ। এরই মধ্যে কিছুটা স্বস্তির কথা শোনাল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)। ইতিমধ্যেই করানোর একাধিক প্রজাতি নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে গোটা দেশে। এরই মধ্যে ICMR জানাল যে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন (Covaxin) কোভিড ১৯-এর একাধিক প্রজাতিকে বিনাশ করতে পারে। একটি গবেষণার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
করোনার প্রথম প্রজাতির মতোই পরের স্ট্রেইনগুলির প্রকোপও বেড়েছে। সেই সময়ে ICMR-এর এই বার্তা গবেষক, চিকিত্সক মহল সহ দেশের মানুষকে অনেকটাই নিশ্চিন্ত করেছে। ২০২০-র মার্চ মাস থেকে শুরু হয় করোনার প্রকোপ। তার পর থেকেই দিন রাত এক করে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানী মহল গবেষণা শুরু করেন। অবশেষে এবছর জানুয়ারি মাস থেকে ভারতে শুরু হয় টিকাকরণ। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন এবং অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড এই দুই টিকা দেওয়া শুরু হয়। সম্প্রতি রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি-কেও এদেশে মান্যতা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : দেশে একদিনে প্রায় ৩ লাখ আক্রান্তের রেকর্ড
তবে যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, এবং বিগত কয়েকদিনে বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু ভ্যাকসিন খারাপ হয়ে যাওয়ায় কয়েকটি রাজ্যে ভ্যাকসিনের ঘাটতি দেখা গিয়েছে। তবে এর মধ্যেই সম্প্রতি কেন্দ্র ঘোষণা করেছে আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বেও যে কেউ করোনা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।
আজ বুধবার সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে এবার সরকারি হাসপাতালে কোভিশিল্ডি ভ্যাকসিন মিলবে ৪০০ টাকায়। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে এই ভ্যাকসিন বিক্রি হবে ৬০০ টাকায়।
যদিও কেন্দ্র আগের নির্ধারিত মূল্য অর্থাত্ ডোজ প্রতি ১৫০ টাকাতেই এই টিকা পাবে। অর্থাত্ কেন্দ্রীয় সরকারের হাসপাতালেই সবথেকে সস্তায় মিলবে এই টিকা। সিরাম ইনস্টিটিউটের দাবি, দাম বাড়লেও এই টিকা বিদেশের টিকার থেকে দামে অনেকটাই সস্তা। বিদেশে ডোজ প্রতি টিকার দাম ৭৫০ থেকে ১৫০০ টাকা বলে দাবি সিরাম ইনস্টিটিউটের। কিন্তু কেন্দ্রে আগের নির্ধারিত দামে কোভিশিল্ড মিললেও রাজ্যে কেন এর দাম বাড়ল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে.
সূত্র: নিউজ ১৮