জলপাইগুড়ি

চা বাগানে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে ফাটল ম্যানেজারের মাথা

চা বাগানে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে ফাটল ম্যানেজারের মাথা

শ্রমিক নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হল চা বাগানে। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের কুকুরযান এলাকার জগবন্ধু চা বাগানে এই ঘটনায় শ্রমিকদের রোষের কবলে পড়ে মাথা ফাটল ম্যানেজারের। প্রসঙ্গত, ঝামেলার সূত্রপাত এক মহিলা শ্রমিকের কাজে যোগ দেওয়া নিয়ে। প্রায় ১২ বছর আগে স্বেচ্ছায় কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন ওই মহিলা শ্রমিক। কিন্তু ৩ মাস আগে তিনি কাজে যোগ দিতে চান বলে চা বাগানে আসেন।

তৃণমূলের এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের পক্ষ থেকেও চা বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে বলা হয় যে ওই মহিলা শ্রমিককে কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু চা বাগানের মালিকরা কিছুতেই নতুন করে আর তাকে কাজে নিতে চান না। আর এ নিয়ে ৩ মাস ধরে প্রায়ই ঝামেলা হত। সেই ঝামেলাই আজ বড় আকার ধারণ করে। তৃণমূলের ২২ জনের একটি দল আজ চা বাগানে আসে। ম্যানেজারের কাছে গিয়ে তারা দাবি জানায় ওই মহিলাকে কাজে নিতেই হবে।

ম্যানেজার তাদের দাবি মানতে না চাওয়ায় চা বাগানের অফিসে ভাঙচুর শুরু করে তারা। ম্যানেজার বাধা দিতে গেলে লোহার রড দিয়ে মেরে তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ম্যানেজার সঞ্জয় চৌধুরীর অভিযোগ, তৃণমূলের এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের একটি দল বাগানে আসে এবং আমার উপর হামলা চালায়। মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে।

চা বাগানে ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনায় যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশে খবর দেওয়া হলে চা বাগানে আসে রাজগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ এসে উদ্ধার করে চা বাগানের ম্যানেজার সঞ্জয় চৌধুরীকে।

আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় বেসরকারি নার্সিংহোমে। সেখানকার চিকিত্‍সকদের তত্ত্বাবধানেই চলছে আহত ম্যানেজার সঞ্জয় চৌধুরীর চিকিত্‍সা। এ ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ দাস বলেন, চা বাগানের এই ঘটনায় দলের কেউ জড়িত নয়। শুনেছি জগবন্ধু চা বাগানে একটা ঝামেলা হয়েছে। তা ওদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এক মহিলা শ্রমিককে অন্যায়ভাবে কাজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। সে বিষয়ে দলের তরফে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

সুত্র : আজকাল

আরও পড়ুন ::

Back to top button