রাজ্য

যোগী মোদীকে তুলোধনা ফিরহাদ হাকিমের

যোগী মোদীকে তুলোধনা ফিরহাদ হাকিমের - West Bengal News 24

বিহার, উত্তরপ্রদেশের নদীতে ভাসছে করোনায় (Coronavirus) মৃতদের লাশ। সেই জলপ্রবাহ থেকে পশ্চিমবঙ্গের নদীগুলিতেও ব্যাপক দূষণের আশঙ্কা প্রকাশ করলেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এবং তার দরুণ শহরে পরিশ্রুত জল সরবরাহ বিপদের মুখে পড়তে পারে বলে তাঁর আশঙ্কা।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ নিয়ে যোগী সরকারের প্রতি কড়া ভাষায় তোপ দাগলেন ফিরহাদ। পাম্পিং স্টেশনগুলো অর্থাত্‍ যেখানে জল পরিশ্রুত করা হয়, সেখানে এর কতটা প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে চিন্তিত কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক।

করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় মৃত্যুমিছিল ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে দেশজুড়ে। নেই সত্‍কারের পর্যাপ্ত জায়গা, বিভিন্ন রাজ্যের নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে করোনায় মৃতদের লাশ। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের পাশের রাজ্য বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের জলসীমা কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ মহল। যদিও কোভিড (COVID-19)রোগীর মৃতদেহ থেকে সংক্রমণ ছড়ায় না বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, তা সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে চিন্তা থেকেই যায়। এই ঘটনা ক্রমশ বাড়তে থাকায় সঙ্গে সঙ্গেই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

ঝাড়খণ্ডের সীমানা ছাড়িয়ে মালদহের মানিকচকে বইছে গঙ্গা। ফলে মৃতদেহ থেকে বাংলায় সংক্রমণ ছড়ানো আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কোভিডে মৃতদের দেহের খোঁজে নৌকো নিয়ে মালদহের (Maldah) মানিকচক ঘাটে টহলদারি শুরু করেছে মালদহের পুলিশ, প্রশাসন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ডুবুরিরা।

উত্তরপ্রদেশের বন্যার জল মালদহের মানিকচকের দিকে গড়িয়ে আসতে অন্তত ৫ দিন সময়ে লাগে। ফলে উত্তরপ্রদেশ থেকে গঙ্গায় ভেসে দেহ এলে তা বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার মালদহের মানিকচক এলাকায় পৌঁছতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা জেলা প্রশাসনের। ভেসে আসা দেহের খোঁজে তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নৌকায় টহলদারি শুরু করা হয়েছে।

এত সতর্কতা সত্ত্বেও আশঙ্কা কীসের? ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, নদীর জল পলতা, গার্ডেনরিচে পরিশ্রুত হয়ে গোটা শহরে পানীয় জল হিসেবে সরবরাহ করা হয়। এখন নদীতে ভাসমান দেহের সংস্পর্শে এসে যদি কোনও জলচর প্রাণীর মাধ্যমে দূষণ ছড়ায়, সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া দুরূহ ব্যাপার বলেই মনে করেন তিনি। বললেন, ‘আমার খুব ভয় হচ্ছে।

বিহার এবং আমাদের রাজ্যে গঙ্গার জলই পরিশুদ্ধ করে পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এখন এইভাবে নদীতে লাশ ভাসলে, সেই জল দূষিত হবে। তারপর জলজ প্রাণীরা মৃতদেহের মাংস খেলে তাদের মাধ্যমে দূষণ ছডানো আটকাব কীভাবে?’ আর তা নিয়েই যোগী সরকারের বিরুদ্ধে অপদার্থতার অভিযোগ তুলেছেন। এ প্রসঙ্গে ক্ষোভের সঙ্গে তিনি যোগীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। পাশাপাশি, মোদির উদ্দেশেও তোপ, ভারতটাকে চিতা, শ্মশানে পরিণত করা হয়েছে!

সুত্র : সংবাদ প্রতিদিন

আরও পড়ুন ::

Back to top button