ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে থাকছেন না, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কলাইকুণ্ডায় গিয়ে দেখা করবেন, ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ানও তুলে দেবেন তাঁর হাতে, তবে পর্যালোচনা বৈঠকে থাকবেন না। আজ, শুক্রবার দুপুরে সাগরদ্বীপ থেকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে বাংলায় এসেছেন মোদী। দুপুর ২টোয় কলাইকুণ্ডায় তাঁর বিমান নেমেছে। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী যাবেন বলে গতকালই জানিয়েছিলেন। কথা ছিল, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী এই নিয়ে বৈঠকও করবেন। শেষ মুহূর্তে সে বৈঠক বাতিল করলেন মমতা নিজেই।
অনেকেই মনে করছেন, এর কারণ শুভেন্দু অধিকারী। কারণ বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ওই বৈঠকে শুভেন্দুর উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীকে সেখানে ডাকা হয়, তাছাড়া শুভেন্দু নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পূর্ব মেদিনীপুরে তাঁর রাজনৈতিক আধিপত্য রয়েছে। গোটা পূর্ব মেদিনীপুরই ঝড়ের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত।
কিন্তু সূত্রের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় জানিয়ে দেয়, শুভেন্দু বৈঠকে থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে থাকবেন না। কারণ, শুভেন্দুকে বিজেপি বিরোধী দলনেতা করলেও বিধানসভায় সরকারি ভাবে সেই মর্যাদা এখনও তিনি পাননি বলে তাঁদের যুক্তি।
এই নিয়ে যখন নবান্ন-নয়াদিল্লি বার্তা চালাচালি চলতে শুরু করে। এর পরেই রাজ্য বিজেপির তরফে প্রকাশ করা হয় বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীকে স্বীকৃতি দেওয়ার নথি। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বীকৃতি দেওয়া কাগজ সামনে আনা হয় গেরুয়া শিবিরের তরফে। তাতে দেখা যাচ্ছে গত ১৯ মে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুকে চিঠি লিখে তাঁকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তবে এর পরেও মমতা রাজি হননি বৈঠকে থাকতে। শুক্রবার সকালে সাগরদ্বীপের বৈঠক থেকেই তিনি জানিয়ে দেন, ইয়াস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে হাজির থাকবেন না তিনি।
সূত্র : দ্য ওয়াল