‘ফিরে তাকাল না কেউ ‘, হাসপাতালেই মৃত শিশুকে বুকে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাবা
মাত্র ৫ মাস আগে পৃথিবীর আলো দেখেছিল সে, কিন্তু এর বেশি আর বাঁচা হল না। খাট থেকে পড়ে গিয়ে বিনা চিকিত্সায় মৃত্যু হল খুদের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বড়বাঙ্কি জেলায়। খাট থেকে পড়ে যাওয়ার পর আহত শিশুকে নিয়ে নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন তার মা-বাবা। কিন্তু অভিযোগ, হাজার অনুরোধ করা সত্ত্বেও হাসপাতালে কেউ তাদের দিকে ফিরেও তাকায়নি। ডাক্তার নার্সদের বহু ব্যস্ততার ফলে খুদেকে দেখার সময় হয়নি কারও।
হাসপাতাল চত্বরেই দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার পর অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মাস পাঁচেকের শিশুটি। যদিও এ ব্যাপারে সমস্ত অভিযোগ নস্যাত্ করে দিয়েছেন বড়বাঙ্কির চিফ মেডিক্যাল অফিসার। সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিবৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, শিশুটিকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দেখেওছিলেন। বাচ্চাটি খাট থেকে নয়, বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছিল বলেও দাবি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল চত্বরে মৃত শিশুর দেহ কোলে নিয়ে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় তার বাবাকে। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘সবাই এখানে শুধু করোনার কথা বলছে। কেউ কোনও রোগীকে ছুঁয়েও দেখছে না করোনার ভয়ে। আমার বাচ্চাকে কেউ দেখতে আসেনি। সাধারণ একটা খাট থেকে ও পড়ে গিয়েছিল। আর মরেও গেল।’
वीडियो यूपी के कन्नौज का है। आरोप है जिला अस्पताल में बच्चे को इलाज नहीं मिला। पिता, अपने बच्चे की लाश को सीने से लगाए रोता रहा।
वीडियो दिल को झकझोर देने वाला 😢@Uppolice #UPPolice #Kannauj #UttarPradesh @CMOfficeUP @myogioffice pic.twitter.com/fQzfkS2N9K
— vinay saxena (@vinaysaxenaj) June 29, 2020
আরও একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতাল চত্বরে কান্নাকাটি করার জন্য এক পুলিশ অফিসার এসে ওই ব্যক্তিকে ধমক দিচ্ছেন। বলছেন, ‘এখানে কী নাটক চলছে এসব?’ কিন্তু সন্তান হারানোর যন্ত্রণায় ব্যক্তির সটান জবাব, ‘আমার বাচ্চাটা মারা গেছে। আপনি একে নাটক বলছেন?’ এরপর অবশ্য ওই ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দেন পুলিশ। অভিযোগ হাসপাতালে আসার পর ২ ঘণ্টা বিনা চিকিত্সায় পড়ে ছিল শিশুটি। কোনও ডাক্তার তাকে দেখতে আসেননি। দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেট নাগরিকরাও।
সূত্র : দ্য ওয়াল