প্রযুক্তি

সোস্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার উপায়

সোস্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার উপায়

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপুল বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা ধরনের পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। আমার কারণে অকারণে প্রযুক্তির উপরে নির্ভর হয়ে যাচ্ছি। নিজেদের প্রয়োজনে সোস্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খুলে থাকি। তবে `হ্যাকিং`য়ের শঙ্কায় বেশ পেরেশানিতে থাকি। অনেকের মনে প্রশ্ন আসে কিভাবে আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে পারবো। যাতে করে বিনা অনুমতিতে অন্য কেউ নিজেদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে অথবা হ্যাক করতে না পারে।

এই চিন্তা কেবল সোশ্যাল মিডিয়ার জন্যেই নয়, ই-মেইল বা অন্যান্য অনলাইন অ্যাকাউন্টের জন্যেও প্রযোজ্য। এসব অ্যাকাউন্টকে নিরাপদ রাখার কিছু সহজ কৌশল জেনে রাখা জরুরি। কারণ,`হ্যাকিং হয়েছে` কথাটা আমরা একটু বেশিই শুনছি।

আমরা যারা কম্পিউটার বা মোবাইলে ফেসবুক, টুইটার, জি-মেইল, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি সোশ্যাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে থাকি, তারা প্রত্যেকেই পাসওয়ার্ড শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। অ্যাকাউন্ট খোলার সময় পাসওয়ার্ড দিতে হয়। আর এই পাসওয়ার্ড দেয়ার সময় প্রায় সকলেই আমরা একটি ভুল করে থাকি। তা হলো, আমরা আমাদের নিজেদের নাম, জন্ম সাল ইত্যাদি পাসওয়ার্ড হিসেবে নিশ্চিন্তে বসিয়ে দেই। আর এটাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। এসব ক্ষেত্রে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করলে যেকোনো সময় সাইবার ক্রাইমের শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

এর জন্যে আমাদের সকলের উচিত শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার এবং কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা।

পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করার কিছু নিয়ম

► পাসওয়ার্ডে অন্তত আটটি অক্ষর বা তার চেয়ে বেশি অক্ষর ব্যবহার করা।

► ছোট-বড় অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্নের সমন্বয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করা।

► পাসওয়ার্ডে বিশেষ কিছু চিহ্নের ব্যবহার ঘটানো, যেমন : #@+-% ইত্যাদি।

► সম্ভব হলে প্রতিমাসে একবার করে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা।

► Two-factor authentication চালু করে রাখা।

পাসওয়ার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে যা করা একদম উচিত নয়

► নিজের নাম, জন্ম তারিখ অথবা ১২৩৪৫৬ এসব ব্যবহার না করাই ভালো।

► পাসওয়ার্ডে নিজের ফোন নম্বর ব্যবহার না করা।

► খেয়াল রাখতে হবে নিজের ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড যেন কখনোই এক না হয়।

► ভিন্ন ভিন্ন অ্যাকাউন্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা।

► ওয়েব ব্রাউজারের `রিমেম্বার পাসওয়ার্ড` অপশনটি ব্যবহার না করা।

► নিজের পাসওয়ার্ড অনলাইনে বা অন্য কোনভাবে কারো সঙ্গে শেয়ার না করা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button