জাতীয়

পণপ্রথার বলি ২২ বছরের যুবতী, গুরুতর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস পিনারাই সরকারের

পণপ্রথার বলি ২২ বছরের যুবতী, গুরুতর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস পিনারাই সরকারের - West Bengal News 24

কেরলে আয়ুর্বেদ নিয়ে পড়তেন ২৪ বছরের তরুণী বিসমায়া নায়ার। কয়েকদিন আগে তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবা-মায়ের কাছে একটি হোয়াটস অ্যাপ করেন। তাতে লেখা ছিল, পণের জন্য তাঁকে মারধর করেন স্বামী। একদিন স্বামী তাঁর চুল ধরে দেওয়ালে মাথা ঠুকে দিয়েছেন। মারধরের কয়েকটি ছবিও হোয়াটস অ্যাপে পাঠান বিসমায়া।

গত সোমবার শ্বশুরবাড়িতেই মৃত অবস্থায় তাঁকে পাওয়া যায়। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে কেরলে। বিসমায়ার স্বামী কিরণ কুমারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বিসমায়ার মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, এই মৃত্যুর জন্য বর্বর পণপ্রথা দায়ী। এবার থেকে পণের দাবিতে অত্যাচারের অভিযোগ শোনার জন্য পুলিশে স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করা হবে।

মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে বলেন, ‘আমাদের সমাজে বিবাহ প্রথার সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। অনেকে খুব জাঁকজমক করে বিয়ে দেন। তাঁরা এইভাবে সকলকে দেখাতে চান, তাঁদের কত ধনসম্পত্তি আছে। মেয়ের বাবা-মায়েদের বোঝা উচিত, বর্বর পণপ্রথা তাঁদের মেয়েকে পণ্যে পরিণত করে। মেয়েদের মানুষ বলে ভাবা উচিত।’ রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী নেতা রমেশ চেন্নিথালা বিসমায়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।

বিসমায়ার শ্বশুরবাড়ি ছিল কোল্লামে। সেখানে স্নানঘরে তাঁকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখা যায়। তাঁর স্বামী কিরণ কুমারের বয়স ৩০। তিনি রাজ্য পরিবহণ দফতরে চাকরি করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিসমায়ার দাদা বিজিত্‍ বলেন, ‘আমার বোনকে খুন করা হয়েছে। পণের জন্য তার ওপরে নিয়মিত অত্যাচার করা হত। তাকে বেশিক্ষণ বাপের বাড়িতে থাকতে দেওয়া হত না।’ গতবছর জুন মাসে বিসমায়ার সঙ্গে কিরণ কুমারের বিবাহ হয়।

বিসমায়ার বাবা ত্রিবিক্রমণ জানিয়েছেন, বিয়ের সময় পণ হিসাবে জামাইকে ১০ টি সোনার কয়েন, এক একরের বেশি জমি এবং ১০ লক্ষ টাকা দামের একটি গাড়ি দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, গত জানুয়ারি মাসে তাঁর মেয়ে বাপের বাড়িতে এসেছিল। একদিন মাঝরাতে সেখানে হানা দেয় কিরণ কুমার।

বাবা-মায়ের সামনে বিসমায়াকে মারধর করে। ত্রিবিক্রম মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যেতে বারণ করেছিলেন। গত ১৭ মার্চ ছিল কিরণের জন্মদিন। ওইদিন বিসমায়া তাঁর বাড়িতে ফিরে যান। দুই পরিবার আলোচনায় বসে একটা সমঝোতায় আসে। পুলিশ জানায়, শ্বশুরবাড়িতে আসার পরে বিসমায়া কেবল তাঁর মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।

সূত্র : দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button