এবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ড মুম্বাইতেও, ২০০০ জনের শরীরে ঢুকেছে জাল টিকা
জাল ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে যখন তোলপাড় কলকাতা তখন বম্বে হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে মুম্বই পুলিশ মেনে নিল বাণিজ্যনগরীতেও এই ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। শহরের অসংখ্য অভিজাত প্রতিষ্ঠানে টিকাকরণ ক্যাম্প করে কোভিশিল্ড, কো-ভ্যাকসিনের নামে ২০০০-এর বেশি মানুষের শরীরে ভুয়ো টিকা দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর বেঞ্চ।
সেইসঙ্গে আদালত মুম্বই পুলিশ ও বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনকে পরবর্তী শুনানির আগে হলফনামা জমা দিয়ে জানাতে বলেছে নাগরিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তারা কী গাইডালাইন করতে চায়। আদালতে মুম্বই পুলিশ মেনে নিয়েছে দু’ডজনের বেশি ক্যাম্প হয়েছে মুম্বইতে। যেগুলি থেকে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষকে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের তদন্তে নেমে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবকে আটক করা হয়েছে।
মুম্বইতে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা না গেলেও আদালতে পুলিশ জানিয়েছে চারটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। মূল অভিযুক্ত আদিত্য কলেজ অফ আর্কিটেকচারের দুই ডিরেক্টর ডক্টর মণীশ ত্রিপাঠী এবং ডক্টর আশিষ মিশ্র পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রথম এই ভুয়ো ভ্যাকসিনে ক্যাম্পের কথা প্রকাশিত হয়। তারপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এর মধ্যেই আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সমাজকর্মী সিদ্ধার্থ চন্দ্রশেখর।
বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে মহারাষ্ট্র সরকার এবং মুম্বই পুলিশ এবং বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনকে কার্যত তুলোধনা করেন প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি গিরিশ এস কুলকার্নি। আদালত প্রশাসনের উদ্দেশে বলে, আপনারা যদি চোখ বন্ধ করে থাকেন তাহলে তো নাগরিকদের নিরাপত্তা বলে আর কিছু থাকবে না। আদালত মহারাষ্ট্র পুলিশকেও এই মামলায় পক্ষ করেছে। বলা হয়েছে এই কাণ্ড শুধু মুম্বইতেই হয়েছে নাকি মহারাষ্ট্রের অন্য প্রান্তেও এই জালিয়াতির জাল বিছিয়েছে তাও তদন্ত করে দেখতে হবে।
সূত্র: দ্য ওয়াল