CAA নিয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার! সংসদে দেওয়া হল ব্যাখ্যা
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল থেকে আইন হয়েছে ২০ মাস কেটে গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত দেশের কোনও প্রান্তে লাগু হয়নি এই আইন। বিধি প্রণয়নের জন্য আরও ৬ মাস লেগে যাবে বলে জানা গেল মঙ্গলবার।
সিএবি থেকে সিএএ হয়ে গিয়েছিল তখন, যখন করোনা ভাইরাসকে মানুষ চিনত না। অথচ তারপর দেড় বছর কেটে গেলেও এখনও এই আইন লাগু হয়নি। প্রসঙ্গত, এই আইনের আওতায় পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আগত নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া। কিন্তু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের খসড়া অনুযায়ী ওই তিন দেশের নিপীড়িত সংখ্যালঘু চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া স্পষ্ট নয়। যে কারণে আইন হয়ে পড়ে রইলেও তা বলবত্ করতে পারেনি কেন্দ্র।
মঙ্গলবার সংসদে বিরোধী পক্ষ থেকে শাসক শিবিরের দিকে প্রশ্ন ধেয়ে যায় সিএএ লাগু করা নিয়ে। লোকসভার কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ এই প্রশ্ন করেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়ে নেয় বিধি প্রণয়নের জন্য। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের থেকে জানানো হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ সিএএ হয়। আর তারপরেই ভয়ানক করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করল মহামারী আইনের অধীনেই বিধি প্রণয়নের জন্য আরও ৬ মাস সময় চেয়ে নেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
সিএএ নিয়ে এক সময় তোলপাড় হয়ে উঠেছিল দেশের রাজনীতি। দিল্লির শাহীনবাগের দীর্ঘ আন্দোলনের সাক্ষী হয়েছিল দেশ। আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি অত্যাচার ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। আন্দোলনকারীরা সিএএর সঠিক বিধি-প্রক্রিয়ার পাশাপাশি এনআরসি বাতিলের দাবি তুলেছিল।
যেখান থেকে একটি বড়সড় দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছিল দিল্লিতে। তাতে প্রাণ গিয়েছিল বহু মানুষের। অনেকের দেহ এখনও পর্যন্ত খুঁজেই পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয় লোকসভায়। পাশাপাশি ইউএপিএ-র অধীনে সরকার আইনের অপব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ ওঠে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ীই, শুধুমাত্র ২০২০ সালেই ইউএপিএ-র অধীনে ৯টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। যার জেরে গ্রেফতার হয়েছেন ৩৪ জন।
সূত্র : এই মুহুর্তে