পেগাসাস নিয়ে আলোচনা না হলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবে বিরোধীরা
রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচিত একটি পদ। বিহারের জনতা দল ইউনাইটেড-এর সংসদ হরিবংশ নারায়ন সিং এই পদে রয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যায়। সংসদীয় কৌশল হিসেবে বিরোধীরা এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছেন।
সংসদের চলতি অধিবেশনে রাজ্যসভায় কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে এবং বাম দলগুলো-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের তরফে টেলিফোনে আড়িপাতার ইজরায়েলি স্পাইঅয়্যার পেগাসাস, বিতর্কত ৩টি কৃষি আইন, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি ইস্যুতে বিরোধীদের আনা আলোচনার প্রস্তাব দিনের-পর-দিন খারিজ হচ্ছে সংসদে।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার এক প্রবীণ সাংসদ জানিয়েছেন, এমনটা চলতে থাকলে শীঘ্রই অন্য পথে হাঁটতে চান বিরোধীরা।” শুক্রবার সংসদে বিরোধী দলগুলির এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিশেষ সূত্রের খবর, এইভাবে বিরোধীদের অগ্রাহ্য করা হলে আগামী সপ্তাহেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে বিরোধী দলগুলি। এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এছাড়াও কংগ্রেস ডিএমকে এবং বাম দলগুলো অনাস্থা প্রস্তাবের সই করতে পারে।উল্লেখ্য গত ১৯ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন।
শুরুর দিন থেকেই টেলিফোনে আড়িপাতা পেগাসাস, পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষক আইন ইত্যাদি ইস্যুতে বিরোধী দলগুলি আলোচনা চেয়ে রাজ্যসভায় নোটিশ দিয়েছে। মুলতবি প্রস্তাব এর সেই নোটিশ গ্রাহ্য করেননি চেয়ারম্যান। প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সাসপেন্ড হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ শান্তনু সেন।সরকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এর অনড় মনোভাবে ক্ষুব্ধ বিরোধী দলগুলি এবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে।
ওই সাংসদ জানিয়েছেন রাজ্যসভায় দিনের-পর-দিন বিরোধীরা উপেক্ষিত হচ্ছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিরোধিতা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। চলতি বাদল অধিবেশনের প্রায় দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও জ্বলন্ত ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
এমনকি রাজ্যসভা পরিচালনার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আগাম নোটিশ দেয়া হলেও তা অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। পেগাসাস স্পাইঅয়্যার কে কাজে লাগিয়ে এদেশে রাহুল গান্ধী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যাযায়, প্রশান্ত কিশোর, অশোক লাভাসাদের মত ব্যক্তিদের ফোনে আড়িপাতা হয়েছে।
জানিয়ে গোটা বিশ্বে আলোচনা শুরু হলেও ভারত সরকার তদন্তের নির্দেশ দেয়নি এমনকি বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে সংসদে আলোচনা করতেও নারাজ। তাই বাধ্য হয়ে অন্য পথে হাঁটতে চলেছে বিরোধী দলগুলি।
সূত্র: নিউজ ১৮