বিদ্যুত্ সংশোধনী বিল নিয়ে এবার শুরু রাজনৈতিক তর্জা। শনিবার এই বিল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিলকে ‘জনস্বার্থ বিরোধী’ বলে উল্লেখ করেছেন, সেখানেই এই বিল নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদকে একহাত নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রবিবার সকালে টুইট করে মমতার বিরোধিতাকে ‘কুমিরের কান্না’ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। টুইটে শুভেন্দু লেখেন, ‘বিদ্যুত্ সংশোধনী বিল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা আসলে কুমিরের কান্না।’ এই টুইটে নাম না করে সিএসসি-কে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা বলে কটাক্ষ করেন তিনি। লেখেন, ‘এটা আসলে কলকাতার এক বেসরকারি সংস্থা, যারা সবচেয়ে বেশি বিদ্যুত্ মাশুল নেয়, তাঁদের রক্ষা করার কৌশল।’ ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যেই এই বিরোধিতা বলেও সরব হন তিনি।
গত বছর এই বিদ্যুত্ বিলের খসড়া প্রকাশ পেলেও তা সংসদে পেশ করেনি মোদী সরকার। তবে চলতি অধিবেশনে এই বিল পেশ করার সম্ভাবনা তৈরি হতেই ফের সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিলকে ‘জনস্বার্থ বিরোধী’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এছাড়াও এই বিলে রাজ্যগুলির অধিকারও খর্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন মমতা।
চিঠিতে মমতার স্পষ্ট অভিযোগ ছিল, যেখানে সংবিধানে বিদ্যুত্কে কেন্দ্র-রাজ্য যুগ্ম তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা আছে সেখানে বিদ্যুত্ সংশোধনী বিলে বঞ্চিত হচ্ছে রাজ্য। চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এই বিল পুনরায় আসায় স্তম্ভিত। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান, এই বিল আনার আগে রাজ্যগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত্। গত বছরও এই বিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা। সেই কথাও গতকালের চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি।
সুত্র : দ্য ওয়াল