হাইতিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ৩০৪, কম্পনের তীব্রতা ৭.২
স্থানীয় সময় শনিবার সকালের এই ভূমিকম্পে গির্জা ও হোটেলসহ বহু ভবন পুরো ধসে পড়েছে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল অঁরি ইতিমধ্যেই হাইতিতে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
২০১০ সালে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে লাখো মানুষের মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি এখনো পুষিয়ে উঠতে পারেনি দেশটি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, দ্বীপটির সেইন্ট-লুইস দু সাদ শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দুরে ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। ওই অঞ্চলে ৫ দশমিক ১ মাত্রার একটি সহ মোট ছয়টি ‘আফটার-শক’ অনুভূত হয়েছে।
আরো পড়ুন : লেবাননে গ্যাসবাহী ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত ২০
সেখান থেকে ১২৫ কিলোমিটার দুরে রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স এবং প্রতিবেশী কয়েকটি দেশেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল অঁরি মানবিক সহায়তার জন্য দল গঠন করেছেন। তিনি বলেছেন, “এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যতটা সম্ভব ধ্বংসস্তুপের নিচে থেকে জীবিতদের উদ্ধার করা।”
তিনি জানিয়েছে স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহতদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। বহু মানুষ সেখানে ভাঙা হাড়গোড় নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হাইতিতে ‘তৎক্ষণাৎ সহায়তা’ অনুমোদন দিয়েছেন। মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই, নিখোঁজদের খুঁজে বের করা এবং পুনর্গঠনে সহায়তা করবে।
আরো পড়ুন : এবার মারবার্গ ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
হাইতির লে ন্যুভেলিস্ত সংবাদপত্রের সম্পাদক ফ্রানৎস দুভাল এক টুইট বার্তায় লিখেছেন লে কায় শহরে অন্তত দুটি হোটেল ধসে পড়েছে।
তিনি লিখেছেন, “১৪ অগাস্ট, ২০২১ সকাল সাড়ে আটটার দিকে ধীর, শক্তিশালী এবং দীর্ঘ কয়েক সেকেন্ড জুড়ে কেঁপে উঠেছে হাইতির মাটি।”
সংবাদদাতারা বলছেন লে ন্যুভেলিস্ত শহরের বেশিরভাগ গির্জা ও হোটেল ধসে পড়েছে অথবা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেখানকার এপিসকোপাল গির্জার প্রধান আবিয়াদে লোজামা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, “রাস্তা জুড়ে শুধু মানুষের চিৎকার। তারা তাদের প্রিয়জনকে খুঁজছে। পানি ও চিকিৎসা সহায়তা চাইছে।”
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে ভয়াবহ ধ্বংসের চিত্র ফুটে উঠেছে।
হাইতিতে সেভ দা চিলড্রেনের প্রধান লেইলা বুরাহলা বলেছেন, “ক্ষয়ক্ষতি যাচাই করতে বহু দিন লেগে যাবে। কি ধরনের মানবিক সহায়তা এখানে দরকার হবে তা পরিষ্কার।”
সূত্র : বিবিসি