আন্তর্জাতিক

তালিবানরা দাসত্বের শিকল ভেঙেছে: ইমরান খান

Imran Khan : তালিবানরা দাসত্বের শিকল ভেঙেছে: ইমরান খান - West Bengal News 24

কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের এক বিরোধী রাজনীতিক বলেছিলেন, তালিবানকে সক্রিয় সাহায্য করছে তাঁদের সেনাবাহিনী। তালিবান কাবুল দখলের পরে তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জঙ্গিদের কাবুল দখলের পরে সারা বিশ্বে যখন আশংকার মেঘ ঘনিয়ে উঠেছে, তখন ইমরান বললেন, ‘তালিবান দীর্ঘদিনের দাসত্বের শৃঙ্খল ছিন্ন করল।’

ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার সমালোচনা করে ইমরান বলেন, ‘আপনি যদি অন্য জাতির সংস্কৃতিকে গ্রহণ করেন, তাহলে মানসিকভাবে তাদের অধীন হয়ে পড়বেন। যখন এমন ঘটে, তা প্রকৃত দাসত্বের থেকেও খারাপ হয়।’ সোমবার আল জাজিরা টিভিতে দেখা গিয়েছে, কাবুলে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে ঘুরে বেড়াচ্ছে সশস্ত্র তালিবান জঙ্গিরা। মার্কিন নাগরিকরা বিমানে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

আরো পড়ুন : বিমানে উঠতে আফগানদের নজিরবিহীন হুড়োহুড়ি (ভিডিও সংযুক্ত)

সোমবার পেন্টাগন ও আমেরিকার বিদেশ দফতর থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আফগানিস্তান থেকে প্রত্যেক মার্কিন নাগরিককে ফিরিয়ে আনা হবে। তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৬ হাজার মার্কিন সেনা। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসও এদিন জানিয়ে দেন, কাবুল বিমান বন্দর এখনও নিরাপদ আছে। আফগানিস্তান থেকে প্রত্যেক ব্রিটিশ নাগরিক ও তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত লোকজনকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, তাঁরা প্রতিদিন ১২০০ থেকে ১৫০০ জনকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে আনবেন। ব্রিটেন ইতিমধ্যে কাবুল শহর থেকে তাদের দূতাবাস সরিয়ে এনেছে। কাবুলে যে বাড়িতে একসময় ব্রিটিশ দূতাবাসের অফিস ছিল, সেখানে এখন উড়ছে তালিবানের পতাকা। বেন স্বীকার করেন, ‘আমরা কেউই এমন চাইনি’। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ব্রিটিশ সরকার কি তালিবানকে স্বীকৃতি দেবে? তিনি বলেন, এখনও সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

আরো পড়ুন : পালিয়ে যাওয়ার কারণ জানালেন আফগান প্রেসিডেন্ট

ইতিমধ্যে গুজব ছড়িয়েছে আফগানিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন তালিবান কম্যান্ডার মোল্লা আবদুল গনি বরাদর। আপাতত সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তৈরি হবে। তার শীর্ষে থাকবেন আলি আহমেদ জালালি নামে এক রাজনীতিক। পরে তিনি মোল্লা আবদুল গনি বরাদরের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন।

তালিবানের কাবুল দখলের পরেই মোল্লা আবদুল গনি বরাদর কয়েকজন প্রতিনিধিকে নিয়ে বিদায়ী আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। প্রেসিডেন্ট প্যালেসে হওয়া ওই বৈঠকে ক্ষমতার হস্তান্তর নিয়ে কথা হয়। মোল্লা বরাদরকে আগে আফগানিস্তানের বাইরে বেশি লোক চিনতেন না। কিন্তু আচমকা তিনি চলে এসেছেন সংবাদ শীর্ষে। পাশ্চাত্যের সংবাদপত্রগুলি বলছে, আফগানিস্তানে ২০ বছরের যুদ্ধে কেউ যদি সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়ে থাকেন, তিনি হলেন মোল্লা বরাদর।

সূত্র : দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button