আন্তর্জাতিক

যেভাবে ক্ষমতার কেন্দ্রে এলেন মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার

যেভাবে ক্ষমতার কেন্দ্রে এলেন মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার - West Bengal News 24

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন ঘটার তিনদিনের মধ্যেই দেশটিতে ফিরেছেন তালেবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধান মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার। কাতারের দোহা থেকে একটি বিশেষ বিমানে করে মঙ্গলবার আরও কয়েকজন সিনিয়র তালেবান নেতাকে নিয়ে কান্দাহার নামেন তিনি। খবর বিবিসি বাংলার।

২০০১ সালে মার্কিন হামলার মুখে তালেবানের অন্য নেতাদের সঙ্গে প্রথমে কাবুল, তারপর দেশে ছেড়ে পাকিস্তানে পালিয়েছিলেন বারাদার। এরপর সন্ত্রাসের মামলায় ৮ বছর পাকিস্তানের কারাগারে ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ ২০ বছরের নির্বাসিত জীবন আর কারাবাসের পর মঙ্গলবার বিজয়ীর বেশে দেশে ফিরেছেন বারাদার।

হিবাতুল্লাহ আখুনজাদা তালেবানের আমির বা শীর্ষ নেতা হলেও এখন পর্যন্ত যে ইঙ্গিত তাতে আফগান সরকারের প্রধান হতে চলেছেন তার ডেপুটি বারাদার। এর ইঙ্গিত পাওয়া যায়, কাবুলের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার পর রোববার দোহায় বসে ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে তালেবানের সাদা পতাকা সামনে নিয়ে যুদ্ধে বিজয়ের ঘোষণা দেন বারাদার।

আরো পড়ুন : ‘আমরা ২০ বছর আগের তালেবান নই’

বারাদারই যে সরকার প্রধান হচ্ছেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই বলেই মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক এবং আফগান রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড. আসিম ইউসুফজাই বলেন, আফগানিস্তানে তালেবানের সরকারই আসছে এবং বারাদারই যে তাদের ইসলামী আমিরাতের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন, এ নিয়ে আমার খুব একটা সন্দেহ নেই।

তিনি বলেন, তালেবানের বিভিন্ন অংশের সঙ্গেও তার সম্পর্ক ভালো এবং বোঝাপড়া করে জটিলতার মীমাংসা করার ক্ষমতা তার রয়েছে। তবে তালেবানে নেতৃত্বে আরও অন্তত দুজন অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা রয়েছেন– সিরাজউদ্দিন হাক্কানী এবং তালেবানের মূল প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব, তাদেরও ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে বলে আগে খবর বেরিয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদপত্র দ্য ডন-এ মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে বলা হয়, আখুনজাদাকে ২০১৬ সালে তালেবানের আমির নিয়োগ দেয়া হলেও তার ভূমিকা এবং ভাবমূর্তি এখনও একজন মৃদুভাষী ধর্মীয় নেতার। ঈদ বা রোজার আগে বিবৃতি প্রকাশ ছাড়া তার কাছে থেকে তেমন কিছু শোনাও যায়নি এবং তালেবানের সামরিক বিষয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুবই কম।

যেভাবে ক্ষমতার কেন্দ্রে এলেন মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার - West Bengal News 24

আরো পড়ুন : বিমানের চাকায় মিলল মানুষের দেহাংশ, কাবুলের ঘটনায় মর্মান্তিক পরিণতি আফগানদের

ড. ইউসুফজাইও মনে করেন, তালেবান তাদের ইসলামী আমিরাত প্রতিষ্ঠা করবে এবং আখুনজাদা হয়তো হবেন সেই আমিরাতের ‘সেরিমোনিয়াল চিফ (পোশাকি প্রধান)’। তিনি বলেন, এটা কিছুটা ইরানের ধাঁচে সরকারের কাঠামো হতে পারে, যদিও ক্ষমতা থাকবে প্রেসিডেন্টের হাতে।

মোল্লা বারাদার কেমন মানুষ?

কাবুল দখলের পর অনেকের মনেই এই প্রশ্ন উঠেছে যে কেমন মানুষ মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার? কীভাবে তার উত্থান? আর ক্ষমতা হাতে পেলে কিভাবে তিনি আফগানিস্তান চালাবেন? ড. ইউসুফজাই বলেন, বারাদার কঠোর হাতে আফগানিস্তান শাসন করবেন। খুব শক্ত মনের মানুষ তিনি, খুবই শক্ত নেতা। দীর্ঘ আট বছর পাকিস্তানের কারাগারে ছিলেন তিনি, কিন্তু তাতে একটুও ভাঙ্গেননি।

তরুণ বয়স থেকেই যুদ্ধ করছেন বারাদার। প্রথমে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে, তারপর সোভিয়েত সৈন্য প্রত্যাহারের পর ছড়িয়ে পড়া গৃহযুদ্ধে অন্য প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ২০০১ সালে আফগানিস্তান থেকে তালেবানের উৎখাতের পর পাকিস্তানে এলেও আমেরিকানদের ভয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। সেখানে আট বছর কারাভোগও করেছেন তিনি।

ফলে, আপাতদৃষ্টিতে যে মানুষটি এখন ঠাণ্ডা মাথার একজন কূটনীতিক – যিনি দোহায় বসে নানা দেশের সরকারের সাথে আপোষ মীমাংসা করছেন, বিদেশ সফর করছেন – তার আড়ালে রয়েছে দীর্ঘ লড়াইয়ে পোড় খাওয়া শক্ত একজন যোদ্ধা। তালেবানের ভাষায় মুজাহিদীন।

তালেবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা

আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল জানিয়েছে, বারাদারের জন্ম আফগানিস্তানের উরুযগান প্রদেশের উইটমাক নামে একটি গ্রামে। তবে তিনি বড় হন আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারে। সেখানেই একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন। জাতিগত পশতুন বারাদার ১৯৭০ ও ৮০-র দশকে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সৈন্যদের তাড়াতে ১০ বছর যুদ্ধ করেন।

এরপর আফগান গৃহযুদ্ধ চলার সময় মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের নেতৃত্বে ১৯৯৪ সালে যে কয়েকজন পশতুন মুজাহিদীন তালেবান প্রতিষ্ঠা করেন মোল্লা বারাদার ছিলেন তাদের অন্যতম। মোল্লা ওমরের ডান হাত ছিলেন তিনি। জানা যায়, তাদের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্কও ছিল। মোল্লা ওমরের বোনকে বিয়ে করেন বারাদার।

আরো পড়ুন : তালেবানকে স্বীকৃতি প্রসঙ্গে যা বললো পাকিস্তান

১৯৯৬ সালে যখন তালেবান কাবুল দখল করে, তখন সেই সরকারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন মোল্লা বারাদার। ২০০১ সালে আমেরিকার হামলায় তালেবান ক্ষমতা হারানোর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী। আমেরিকানদের তাড়া খেয়ে অন্য অনেক তালেবান নেতার সঙ্গে তিনিও পালিয়ে যান পাকিস্তানে। পাকিস্তান সেনা গোয়েন্দাদের আশ্রয়ের ভরসা থাকলেও আমেরিকানদের হাতে ধরা পড়া বা ড্রোন হামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে তাকে।

যেভাবে ক্ষমতার কেন্দ্রে এলেন মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার - West Bengal News 24

আমেরিকানরা যে কয়েকজন তালেবান এবং আল-কায়েদা নেতাকে ধরার তালিকা করেছিল, সেই তালিকায় মোল্লাহ বারাদারও ছিলেন।

পাকিস্তানে কেন কারাবাস করতে হয়েছিল বারাদারকে?

২০১০ সালে করাচিতে পাকিস্তানের পুলিশ মোল্লা বারাদারকে আটক করে। সে সময় পত্র-পত্রিকায় যে ছবি ছাপা হয়েছিল, তাতে দেখা যায় তাকে লোহার চেইন দিয়ে হাত বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক মিডিয়ায় তখন বিশ্লেষকরা লিখেছিলেন যে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার আশায় বারাদারকে ধরেছে পাকিস্তান। কারণ পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তালেবান এবং আল-কায়েদাকে আশ্রয় দিচ্ছে এই অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের ওপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি করেছিল।

তখন এমন খবরও বের হয় যে মোল্লা বারাদার আপোষ-মীমাংসার চেষ্টা হিসেবে কাবুলে সে সময়কার প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন, যা আইএসআই জেনে গিয়েছিল। কিন্তু তাকে আটক করলেও আমেরিকানদের হাতে তুলে দেয়নি পাকিস্তান।

বারাদারের পথ পরিক্রমা- করাচি থেকে দোহা

সন্ত্রাসের মামলায় আট বছর পাকিস্তানের কারাগারে ছিলেন মোল্লা বারাদার। ২০১৮ সালের অক্টোবরে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। তখন এমন খবর বেরিয়েছিল যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মুক্তি চেয়েছিলেন কারণ আমেরিকা আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ করার জন্য তালেবানের সঙ্গে মীমাংসায় বসার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সে লক্ষ্যে ওই সংগঠনের একজন প্রভাবশালী নেতার খোঁজ করছিলেন।

এই খবর সত্য প্রমাণিত হয় যখন মুক্তি পাওয়ার কিছুদিন পরই বারাদার দোহায় গিয়ে তালেবানের রাজনৈতিক অফিসের দায়িত্ব নেন।

আমেরিকানরা আপোষ-মীমাংসার জন্য তালেবানের পক্ষে তাকেই কেন বেছে নিয়েছিল, তা খুব পরিষ্কার নয়। তবে সে সময় নিউইয়র্ক টাইমস সংবাদপত্রে বারাদারের সাংগঠনিক দক্ষতা, স্বাধীনচেতা ব্যক্তিত্ব এবং তালেবানের তৃণমূলে তার প্রভাব নিয়ে একটি রিপোর্ট ছাপা হয়।

ওই রিপোর্টে বলা হয়, ২০০৯ সালে বারাদার সাধারণ মানুষের মন জয় করার উপায় নিয়ে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন, যেটি তালেবানের যোদ্ধাদের হাতে হাতে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল।

লন্ডনের দৈনিক সংবাদপত্র গার্ডিয়ানে তালেবানকে নিয়ে সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে সাংবাদিক জুলিয়ান বোর্গার লিখেছেন, পশ্চিমা কূটনীতিকরা দেখেছিলেন যে তালেবান শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে বারাদারই পাকিস্তান সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র কথা সবসময় শুনতে চাইতেন না এবং তিনি অতীতে কাবুলের প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছেন।

২০১৯ সালে দোহায় গিয়ে তালেবানের পক্ষে আলোচনায় নেতৃত্ব নেন বারাদার। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তিতে তালেবানের পক্ষে তিনিই সই করেন। গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে তালেবানের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মোল্লা বারাদারকেই সারা বিশ্বের লোকজন দেখেছে।

ড. ইউসুফজাই বলেন, বারাদার তালেবানের এক নম্বর নেতা নন। কিন্তু বিশ্বের কাছে তিনিই এখন তালেবানের মুখ হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছেন। ভালো ইংরেজি জানেন। বিশ্বের নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। বিদেশ সফরে গিয়ে তাদের ভরসা দিচ্ছেন, স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছেন। তাছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গেও তার সম্পর্ক ভালো, চীনের সঙ্গেও সম্পর্ক তৈরি করেছেন।

পাকিস্তান তাকে এক সময় আটক করে জেলে পাঠালেও ২০২০ সালে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি সই করার আগে বারাদার ইসলামাবাদ গিয়ে পাকিস্তানি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আসেন, যা নিয়ে তখন বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রশ্নে কতটা নমনীয় হবেন বারাদার?

আমেরিকার সঙ্গে দোহায় যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে নানা পক্ষের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালেবান। কাবুল দখলের পর সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষার চাপ তৈরি হয়েছে তাদের ওপর। এমনকি তালেবানের সবচেয়ে বড় সমর্থক পাকিস্তানও সতর্ক করছে যে তারাও কাবুলে বিভিন্ন আফগান পক্ষের সমন্বয়ে একটি সরকার দেখতে চায়।

যেভাবে ক্ষমতার কেন্দ্রে এলেন মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার - West Bengal News 24

সোমবার আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু তাজিক, উজবেক এবং হাজারা সম্প্রদায়ের নেতাদের একটি প্রতিনিধিদল ইসলামাবাদে গিয়ে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে কথা বলেছেন। পরে আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিশেষ দূত মোহাম্মদ সাদিক সাংবাদিকদের বলেন, আগেরবারের মতো (১৯৯৬ সালের মত) পাকিস্তান তালেবানকে একতরফা স্বীকৃতি দেবে না।

রাশিয়াও বলেছে যে, আফগানিস্তানের শাসক হিসেবে তালেবানকে স্বীকৃতি দিতে তারা তাড়াহুড়ো করবে না। অর্থাৎ যেসব প্রতিবেশী দেশের স্বীকৃতি তালেবানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তারাও চাইছে তালেবানকে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে হবে।

কতটা কান দেবেন বারাদার?

ড. ইউসুফজাই মনে করেন, কাবুলে যে সরকার হবে তা মূলত তালেবানের সরকারই হবে। তিনি বলেন, এই সরকারে থাকবে তালেবান এবং তাদের কড়া সমর্থকরা। তালেবানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না হলেও তাদের নীতি-আদর্শ যারা সমর্থন করে, বড়জোর তাদেরই সরকারে জায়গা হতে পারে।

তিনি বলেন, তালেবান সবসময় আনুগত্যকে পুরস্কৃত করে। যারা ২০ বছর ধরে তাদের হয়ে যুদ্ধ করেছে, কারাভোগ করেছে, তারাই প্রধান পদগুলো পাবেন। ড. ইউসুফজাই আরও মনে করেন, তালেবানের বন্ধু প্রয়োজন কিন্তু বন্ধুত্বের জন্য বড় ধরনের কোনও আপোষ তারা করবে না।

আরো পড়ুন : আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ‍ফুরফুরে মেজাজে তালেবানরা (ভিডিও)

নারীদের শিক্ষা এবং কাজের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে না- তালেবানের পক্ষ থেকে ক্রমাগত আশ্বস্ত করা হচ্ছে। স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলে (টোলো টিভি) মঙ্গলবার তালেবানের একজন নেতা একজন নারী উপস্থাপককে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। তবে কট্টর ইসলামী অনুশাসন চাপিয়ে দেয়ার নীতি থেকে তালেবান কতটা সরেছে, তা নিয়ে অনেকেই গভীরভাবে সন্দিহান।

ড. ইউসুফজাই বলেন, তারা সবসময় একটি শর্ত জুড়ে দেয়– শরিয়াহ আইন। তাদের কথা, যা কিছু হবে তা শারিয়াহ আইনের মধ্যে হতে হবে। অর্থাৎ বোরকা, পুরুষ সঙ্গী ছাড়া একা বাইরে বেরুনো যাবে না। সেটাই বড় ঝুঁকি। তবে কি ঘটবে তা দেখার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button