আর্থিক সংকটে দিশেহারা উত্তর কোরিয়ায় বসছে পার্লামেন্ট
আগামী মাসে বসতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার পার্লামেন্ট সুপ্রিম পিপল’স অ্যাসেম্বলির (এসপিএ) অধিবেশন। দেশটির অর্থনৈতিক নীতি এবং অন্যান্য ইস্যু নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এমন এক সময় পার্লামেন্টে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে উত্তর কোরিয়া। খবর আল জাজিরার।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টের অধিবেশন বসবে। সেখানে দেশটির জাতীয় অর্থনৈতিক নীতির ‘পরিবর্তন এবং পরিপূরককরণ’ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এগুলো ছাড়াও শহর এবং দেশের উন্নয়ন, শিক্ষা এবং রিসাইক্লিং বিষয় আইন নিয়েও আলোচনা হবে।
আরো পড়ুন : কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ
উত্তর কোরিয়ায় পার্লামেন্ট অধিবেশন খুব একটা বসে না। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটা সরকার পরিচালনার কাঠামো এবং বাজেটের মতো সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেয়। আর এসব কিছু ঠিক করে দেয় দেশটির শক্তিশালী ওয়ার্কার্স পার্টি। আবার পার্লামেন্টের অধিকাংশই হচ্ছেন ক্ষমতাসীন এই দলটির।
কেসিএনএ জানিয়েছে, মঙ্গলবার এসপিএ’র স্থায়ী কমিটির পূর্ণাঙ্গ মিটিংয়ে পার্লামেন্ট অধিবেশন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ২৩ বছরের মধ্যে ২০২০ সালে মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘের অব্যাহত অবরোধ, কোভিড-১৯ জনিত লকডাউন এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে দেশটি।
উত্তর কোরিয়া এখনও পর্যন্ত দেশটিতে কোনও করোনা রোগীর খবর নিশ্চিত করেনি। কিন্তু করোনার কারণে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। নিয়েছে কঠোর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও। গত জুন মাসে দেশটির নেতা কিম জং উন বলেন, মহামারি এবং গত বছরের টাইফুনের কারণে ‘চরম’ খাদ্য সংকটে পড়েছে উত্তর কোরিয়া।
আরো পড়ুন : বোকো হারামে জিহাদি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
এই গ্রীষ্মে আরও কয়েক দফার ঝড়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে উত্তর কোরিয়াকে। সেক্ষেত্রে ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে কিম বলেছিলেন, দেশটির বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ১৯৯০-র দশকের মতো এবং কঠিন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ওই সময় চরম দারিদ্র্য এবং খাদ্য সংকটে ছিল দেশটি।