রাজ্য

মাস্ক ছাড়া কেনা-বেচা করলে অতিমারি আইনে ব্যবস্থা : ফিরহাদ হাকিম

Firhad Hakim : মাস্ক ছাড়া কেনা-বেচা করলে অতিমারি আইনে ব্যবস্থা : ফিরহাদ হাকিম - West Bengal News 24

মুখে মাস্ক না থাকলে পুজোর বাজারে কেনা-বেচা, দুই-ই নিষিদ্ধ। মহানগরেরর সমস্ত জোনে যে হকার বা দোকানদার মাস্কহীন ক্রেতাকে সামগ্রী বিক্রি করবেন তাঁর বিরুদ্ধে অতিমারী আইনেই ব্যবস্থা নেবে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ ও বণিকসভার সঙ্গে বৈঠক শেষে করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ রুখতে শুক্রবার এমনই জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ও পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

ফিরহাদ হাকিম এ দিন বলেন, ”শহরের পথেঘাটে এখন প্রচুর মানুষ মাস্ক ছাড়াই ঘুরছেন। এই প্রবণতা বাজারগুলিতে বেশি করে চোখে পড়ছে। যিনি মাস্ক ছাড়া ব্যবসা করবেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা তো নেওয়া হবেই। পাশাপাশি বিক্রেতাদের দায়িত্ব থাকবে ক্রেতাদের মাস্ক পরতে বাধ্য করা। না হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।” ফিরহাদ জানান, এ বার থেকে নিয়মিত বাজার জীবাণুমুক্ত করার কাজও শুরু করবে পুরসভা।

আরো পড়ুন : মালদহের কালিয়াচক গণহত্যাকাণ্ডের চার্জশিট জমা দিল পুলিশ, সাক্ষী রয়েছে ৪৪ জনের

পুর ভবনে ওই বৈঠকে ছিলেন পুর স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ, কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনারঅখিলেশ চতুর্বেদী। সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিভিন্ন বাজারে কলকাতা পুরসভা এবং কলকাতা পুলিশ একসঙ্গে অভিযান চালাবে। মাস্ক পরা, হাত ধোয়া-সহ যাবতীয় করোনা বিধি মেনে চলতে মাইকে একসঙ্গে প্রচারও করা হবে।

শুরু ধরপাকড়

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে মাস্ক না পরে বেরোলে কড়া ব্যবস্থা নেবে কলকাতা পুলিশ। মাস্কহীন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। একশো টাকার বিনিময়ে তিনি জামিন পাবেন।

সেই মতো এ দিন বিকেল থেকেই নিউ মার্কেটে ধরপাকড় অভিযান শুরু হয়। মাস্ক না পরা একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে প্রিজন ভ্যানে চাপিয়ে নিউ মার্কেট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁরা একশো টাকার বিনিময়ে জামিন পান।

আরো পড়ুন : দাম্পত্য কলহের জের! নিজের স্ত্রী’কে নিশানা করে গুলি স্বামীর, গ্রেফতার অভিযুক্ত স্বামী

গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, শ্যামবাজার, কলেজ স্ট্রিটের মতো বাজারেও একই ভাবে রোজ যৌথ অভিযান চালাবে পুরসভা ও পুলিশ। লালবাজার ইতিমধ্যেই সব থানাকে স্থানীয় পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার নির্দেশ দিয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে কলকাতার করোনা সংক্রমণ তুলনামূলক ভাবে বেশিই রয়েছে। পর পর দু’দিন আক্রান্ত হয়েছেন শতাধিক। যদিও সংক্রমণের হার এখনও ২ শতাংশের নীচেই রয়েছে। মনে করা হচ্ছে সংক্রমণের এই বৃদ্ধিটা বিক্ষিপ্ত ঘটনাই। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তা ফের কমতে শুরু করবে। কারণ এই মুহূর্তে কেরল বাদে দেশের অন্য কোনো অংশে সংক্রমণ বৃদ্ধির কোনো ইঙ্গিত নেই।

সূত্র : খবর অনলাইন

আরও পড়ুন ::

Back to top button