সত্ বাবার লালসার শিকার মেয়ে, স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সত্ কন্যাকে ধর্ষণ সত্ বাবার
বিয়ে করলে বউ মেলে এটা সবাই জানে। বিয়ের সঙ্গে যৌতুকও আসে। কিন্তু ফাউ আরও একটা শরীর সবাই পায় না। তবে ইদানিংকালে অনেকেরও সেটাও জুটছে। মানে অনেকটা চৈত্র সেলের মতো। একটা কিনলে একটা ফ্রি। বিয়ে করলে বউয়ের শরীর তো মিলবেই, সেই সঙ্গে বউয়ের আগের পক্ষের কোনও মেয়ে থাকলে সেটাও মিলতে আজকাল বেশি কসরত কার্যত কাউকেই করতে হচ্ছে না।
বউ ঘরে এলে সেও তো মায়ের হাত ধরে নতুন ঘরে পা রাখবে। তারপর আর কী, প্রথম কয়দিন আদিখ্যেতা, তারপর বউ বাড়ির বাইরে পা রাখলেই সেই শিশুকন্যা বা কিশোরী কিংবা নাবালিকার শরীরের দিকে হাত বাড়িয়ে দেওয়া। এরপর যতদিন না ধরা পড়া ততদিন মনের সুখে ছিঁড়ে খাওয়া।
এক আধটা নয়, বাংলার বুকে কার্যত ধারাবাহিক ভাবে ঘটে চলেছে সত্ মেয়ের ওপর সত্ বাবার লাগাতার ধর্ষণের ঘটনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা ক্যানিংয়ে এই ধরনেরই একটি ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে সত্ বাবার হাতে লাগাতার ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে এক নাবালিকাকে।
আরো পড়ুন : গল্পে মশগুল নার্স, এক ব্যক্তিকে দিয়ে ফেললেন কোভিড ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ
জানা গিয়েছে, ক্যানিং থানার তালদি গ্রামের বাসিন্দা ওই অভিযুক্ত কিছুদিন আগেই দ্বিতীয় বিয়ে করে। তার প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে আগেই চলে গিয়েছিল। নতুন যাকে সে বিয়ে করে সেই মহিলা কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন। নিয়মিত রাতে ডিউটি থাকত তাঁর। ওই মহিলার প্রথম পক্ষের স্বামী আগেই মারা গিয়েছিলেন। তাই মেয়েকে নিয়েই তিনি দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর ঘরে এসেছিলেন। কিন্তু স্ত্রীর রাতের নাইট ডিউটির সুযোগকেই কাজে লাগায় অভিযুক্ত।
ওই মহিলা রাতে বার হয়ে গেলেই অভিযুক্ত দিনের পর দিন ধরে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করতো। প্রতিবাদ করলে অথবা কাউকে জানানোর ভয় দেখালে খুনের হুমকি দিতে পিছুপা হত না। কিন্তু কিছুদিন আগে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে সব কথা মাকে খুলে জানায়। এরপরেই একটি মহিলা সমিতির সহযোগিতায় মেয়েকে নিয়ে ক্যানিং থানায় গিয়ে দ্বিতীয় স্বামীর নামে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হন ওই মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত।
সূত্র: এই মুহুর্তে