‘গুরুদ্বারে গেলেই মন শান্ত হয়ে যায়’, জনসংযোগে বেরিয়ে প্রতিক্রিয়া মমতার
সামনেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন। ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। ভবানীপুরের অলিগলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের প্রচার। উপনির্বাচনের দামামা বাজতেই জনসংযোগে ব্যস্ত মমতা ব্যানার্জি। প্রচারের ফাঁকে এদিন গুরুদ্বারে হাজির হন মমতা ব্যানার্জি। মমতা ব্যানার্জিকে ফুল ও উত্তরীয় দিয়ে স্বাগত জানান গুরুদ্বার কমিটির লোকজন।
গুরুদ্বারে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের জমায়েতে দাঁড়িয়ে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘শুভকামনা জানাতে গুরুদ্বারে এসেছি। পেতেও এসেছি। আগেও অনেকবার এখানে এসেছি। গুরুদ্বারে এলে মন শান্ত হয়ে যায়। এখানকার হালুয়া খুব পছন্দ করি। গুরু নানকজির অনুষ্ঠানেও গিয়েছি। পঞ্জাবের সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক বহু দিনের। সেই স্বাধীনতার সময় থেকে পাঞ্জাবের সঙ্গে বাংলার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন জাতীয় সঙ্গীত লিখেছিলেন তা শুরুই করেছিলেন পাঞ্জাব দিয়ে। আন্দামানে গিয়ে দেখিছে, যত মানুষ দেশের জন্য বলিদান দিয়েছেন তাদের মধ্যে পাঞ্জাব ও বাংলার মানুষের সংখ্যা বেশি। কুড়ি বছর আগে পঞ্জাবের বিভিন্ন জেলা সফর করেছি। পাঞ্জাবের মানুষদের থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি আমি।’
আরও পড়ুন : ‘দুয়ারে গর্ত’! নাম না করে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর বিধানসভা এলাকায় প্রচুর শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের ভোট নিজেদের দিকে টানতে মরিয়া মমতা ব্যানার্জি, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচুর অবাঙালি ভোটারের বসবাস। অবাঙালি ভোটারদের কাছে টানতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। বহুতলগুলির বেশিরভাগ বাসিন্দাই হিন্দিভাষী।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে মহিলা বিগ্রেডকে পাঠানো হবে বহুতলগুলিতে। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে মহিলারা যাবেন বহুতলগুলিতে। প্রতিটা দলে ৫ জন করে মহিলা তৃণমূল কর্মী থাকবেন। তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা বহুতলগুলির ঘরে ঘরে যাবেন। সেখানকার বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগ শুনবেন। সরকারি প্রকল্প গুলির সুবিধা পাচ্ছেন কিনা সেবিষয়েও খোঁজ নেবেন। উপনির্বাচনের পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার ভোটেও কাজে লাগবে এই ধরণের প্রচার।
উল্লেখ্য, দলের তরফে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুব্রত মুখার্জিকে। ৮২, ৭৪ ও ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে মমতা ব্যানার্জির হয়ে প্রচারের যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার। ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারের দায়িত্বে থাকছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে মমতা ব্যানার্জির ভাই কার্তিক ব্যানার্জি।
West Bengal Chief Minister and TMC candidate from Bhabanipur (by-poll), Mamata Banerjee offers prayers at Gurudwara Sant Kutiya in Bhabanipur pic.twitter.com/vD08fixIoq
— ANI (@ANI) September 15, 2021
সূত্র: আজকাল