বিচিত্রতা

দুই স্কুলছাত্রের অ্যাকাউন্টে ৯৬০ কোটি টাকা

দুই স্কুলছাত্রের অ্যাকাউন্টে ৯৬০ কোটি টাকা - West Bengal News 24

দুই স্কুলছাত্রের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হঠাৎ ঢুকল ৯৬০ কোটি টাকা। তবে কিভাবে এত টাকা তাদের ব্যাংকে জমা পড়ল তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে, এরই মধ্যে শুরু হয়েছে তদন্তও।

বিহারের কাটিহার জেলার বাগাউরা পঞ্চায়েতের পাসতিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই গ্রামেরই দুই পড়ুয়া গুরুচন্দ্র বিশ্বাস এবং অসিত কুমার।

সংবাদ সংস্থা ‘লাইভহিন্দুস্তান’-এর রিপোর্টে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিশ্বাস এবং কুমারের অ্যাকাউন্টে যথাক্রমে ৬০ কোটি এবং ৯০০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই কাটিহার জেলায় হুলস্থূল পড়ে গিয়েছে।

স্কুলের পোশাকের টাকা জমা পড়েছে কি না তা দেখতেই স্টেট ব্যাংকের স্থানীয় সেন্ট্রালাইজড প্রসেসিং সেন্টার (সিপিসি)-এ গিয়েছিল দু’জনে। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে কি না তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে তারা চমকে ওঠে। দু’জনের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা জমা পড়েছে! ঘটনাটি মুহূর্তে চাউর হয়ে যায় গোটা গ্রামে।

আরও পড়ুন : বিমানে চড়ে প্রতিদিন অফিসে যান তারা

বিশ্বাস এবং কুমারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে উত্তর বিহার গ্রামীণ ব্যাংকে। ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার মনোজ গুপ্ত খবরটি শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ওই দু’জনের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকার লেনদেনের প্রক্রিয়া বন্ধ করিয়ে দেন। কী ভাবে এত টাকা দুই পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ঢুকল তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাদের পরিবার থেকে প্রতিবেশীরা।

বিহারেরই খাগাড়িয়া জেলার এক শিক্ষকের অ্যাকাউন্টে দু’দিন আগে হঠাৎই সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ঢোকে। ব্যাংকের প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এমনটা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ পর্যন্ত তাও ঠিক ছিল। কিন্তু এই টাকা পেয়ে শিক্ষক রঞ্জিত দাস সেটা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। শুধু অস্বীকারই নয়, ওই টাকা থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৭০ টাকা খরচও করে ফেলেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়লে পুলিশ রঞ্জিতকে গ্রেপ্তার করেন।

রঞ্জিত বলেন, “ভেবেছিলাম কোভিড এবং লকডাউনের কারণে সরকার টাকা পাঠিয়েছে। এখন নানান রকম ব্যাংক প্রতারণা হচ্ছে চারদিকে। তাই আমি টাকাটা ফেরত দিতে চাইনি। আমার টাকার প্রয়োজনও ছিল। তাই ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৭০ টাকা খরচ করে ফেলেছি। তবে আমি খুশি যে প্রয়োজনের সময় সরকার আমাকে টাকাটা পাঠিয়েছে। তা না হলে শূন্য অ্যাকাউন্টে কী ভাবে টাকা ঢোকে?”

সূত্র: আনন্দবাজার

আরও পড়ুন ::

Back to top button