সাবধান! আপনার ফোনে এই অ্যাপ নেই তো? খোয়া যেতে পারে সব টাকা, সতর্ক করল স্টেট ব্যাঙ্ক
স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) আগেই টুইট করে সতর্ক করেছিল গ্রাহকদের। এ বার সব গ্রাহকের ফোনেই মেসেজ পাঠানো শুরু হয়েছে। একের পর এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের টাকা লোপাট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ আসতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। বলা হয়েছে, কোনও অচেনা ব্যক্তির কথায় বা পরামর্শে কিছু অ্যাপ ডাউনলোড করলেই বিপদের ঝুঁকি।
এই ভাবে হ্যাকাররা গ্রাহকদের লেনদেন সংক্রান্ত গোপন তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি বিভিন্ন অভিযোগ আসতে থাকায় ব্যাঙ্ক এই পদক্ষেপ করেছে বলে জানা গিয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্কের এক কর্তা জানিয়েছেন, কুইটসাপোর্ট, এনিডেস্ক, মিঙ্গেলভিউ, টিমভিউয়ার-এর মতো অ্যাপগুলি অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর মাধ্যমেই তথ্য হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। পরে সেই তথ্য ব্যবহার করেই গ্রাহকদের সঞ্চিত অর্থ লোপাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
Beware of fraudulent customer care numbers. Please refer to the official website of SBI for correct customer care numbers. Refrain from sharing confidential banking information with anyone.#CyberSafety #CyberCrime #Fraud #BankSafe #SafeWithSBI pic.twitter.com/Q0hbUYjAud
— State Bank of India (@TheOfficialSBI) September 18, 2021
ওই ব্যাঙ্ক কর্তা বলেন, ”টাকা খোওয়া যাওয়ার পরে পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ জানানো উচিত। কিন্তু এটা জানা দরকার যে, হ্যাকাররা এত সুচারু ভাবে কুকর্মটি করছে যে অনেক সময়ে পুলিশের পক্ষেও তা উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।” স্টেট ব্যাঙ্কের দাবি, ইদানীং ‘কেওয়াইসি আপডেট’ ছাড়াও নানা প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছে ফোন আসছে।
আরও পড়ুন : নথিভুক্ত ফোন নম্বর ছাড়াই যেভাবে ডাউনলোড করবেন আপনার আধার কার্ড, স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি
সেই ফোনে হ্যাকাররা নিজেদের ব্যাঙ্ককর্মী পরিচয় দিয়েই কথা বলছে। কথার মধ্যেই সুবিধা পাওয়ার জন্য নানা অ্যাপ ডাউনলোডের পরামর্শ দিচ্ছে। কোনও গ্রাহক সেটা করে ফেললেই ওই অ্যাপের মাধ্যমে নানা তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সে কারণেই গ্রাহকদের সতর্ক করছে ব্যাঙ্ক। বলা হয়েছে, অনেক সময় https://sbikycupdate.online নামে একটি ওয়েবসাইটে ক্লিক করতে বলা হচ্ছে।
স্টেট ব্যাঙ্কের দাবি, এটা সম্পূর্ণ ভুয়ো। এখানে ক্লিক করলে এমন অ্যাপ মোবাইল ফোনে ডাউনলোড হয়ে যেতে পারে যার মাধ্যমে অনলাইন লেনদেনের সময় সব তথ্য হ্যাকাররা পেয়ে যেতে পারে। যা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। ব্যাঙ্কের সঠিক ওয়েবসাইটে না গিয়ে গুগ্ল করে পাওয়া কাস্টমার কেয়ার নম্বরে ফোন করতেও নিষেধ করা হচ্ছে গ্রাহকদের। কারণ, সেই ক্ষেত্রেও ভুল পরামর্শ মিলতে পারে এবং সর্বস্বান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।