জাতীয়বিচিত্রতা

পাথর বের করতে গিয়ে গোটা কিডনিই কেটে নিলেন চিকিত্‍সক, তারপর যা হল

পাথর বের করতে গিয়ে গোটা কিডনিই কেটে নিলেন চিকিত্‍সক, তারপর যা হল - West Bengal News 24

পিঠে অসহ্য যন্ত্রণা। সঙ্গে প্রস্রাবে সমস্যা। এই সমস্যাগুলি নিয়েই হাসপাতালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গুজরাটের এক ব্যক্তি। পরীক্ষার পর চিকিত্‍সক জানান, কিডনিতে পাথর জমেছে। অস্ত্রোপচার করতে হবে। আর সেই অস্ত্রোপচার করতে গিয়েই ঘটেছিল বিপত্তি।

কিডনি থেকে পাথর সরানোর বদলে গোটা কিডনিই কেটে বাদ দিয়ে দেন চিকিত্‍সক। এর কিছুদিনের মধ্যেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ২০১১ সালের এই ঘটনার জল গড়িয়েছিল আদালতে। শেষপর্যন্ত দিন কয়েক আগে ওই ব্যক্তির পরিবারকে বিরাট অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

জানা গেছে খেদা জেলার বাসিন্দা ছিলেন দেবেন্দ্রভাই রাভাল। হঠাত্‍ই পিঠে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। সঙ্গে প্রস্রাবের সমস্যাও দেখা দেয়। এরপরই চিকিত্‍সকের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বালাসিনরো শহরের কেএমজি জেনারেল হাসপাতালে যান তিনি। সেখানকার চিকিত্‍সক ড. শিবুভাই প্যাটেলকে দেখান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি জানান, দেবেন্দ্রভাইয়ের কিডনিতে ১৪ মিলিমিটার লম্বা পাথর জমেছে। অস্ত্রোপচার করতে হবে। এরপর ওই চিকিত্‍সক দেবেন্দ্রভাইকে অস্ত্রোপচারের জন্য অন্য হাসপাতালে যেতে বলেন।

আরও পড়ুন : উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টি-ধস, আটক ১৪ জন বাঙালি পর্যটক

সে কথা তিনি শোনেননি। ওই হাসপাতালেই অস্ত্রোপচার করার জেদ ধরেন। চিকিত্‍সকও রাজি হয়ে যান। ২০১১ সালে সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। আর এই অস্ত্রোপচারের সময় পাথরের বদলে পুরো কিডনিটা বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। চিকিত্‍সকদের দাবি, রোগীকে বাঁচাতে কিডনি বাদ দেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এ সম্পর্কে প্রথমে রোগীর পরিবারকে কিছুই জানানো হয়নি।

চার মাস পরে নতুন করে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই কিডনি বাদ দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। চিকিত্‍সা চলাকালীন দেবেন্দ্রভাইয়ের মৃত্যুও হয়। সেটা ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি। এই ঘটনার পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন দেবেন্দ্রভাইয়ের স্ত্রী। মামলায় সংশ্লিষ্ট চিকিত্‍সক-সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দোষী সাব্যস্ত করেন। পাল্টা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আইনি টানাপোড়েনের পর হাসপাতালকে ১১ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

সুত্র : আজকাল

আরও পড়ুন ::

Back to top button