জানা-অজানা

পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গল, গেলে আর কেউ ফিরে আসে না

পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গল, গেলে আর কেউ ফিরে আসে না - West Bengal News 24
পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গল গেলে আর কেউ ফিরে আসে না ছবি সংগৃহীত

পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ানক এই জঙ্গল। এমনকি আতঙ্কের শিহরণ বয়ে যায় এই জঙ্গলের কথা শুনলে, প্রবেশ করা তো দূরের কথা। এই ভয়ঙ্কর জঙ্গল হলো রোমানিয়ার ‘হোইয়া বাছিউ’ ফরেস্ট। এই জঙ্গলকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গল বলা হয়। এই জঙ্গলে যারা প্রবেশ করেন তারা আর কখনো ফিরে আসেন না।

পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গল, গেলে আর কেউ ফিরে আসে না - West Bengal News 24
হোইয়া বাছিউ জঙ্গলকে `বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল` বলা হয়

হোইয়া বাছিউ দুনিয়ার সবচেয়ে ভয়ানক জঙ্গল। যা ট্রান্সেলভ্যানিয়া প্রান্তের ক্লুজ কাউন্টিতে রয়েছে। জঙ্গলে এমন এমন সব ঘটনা হয় যে একে ট্রান্সেলভ্যানিয়ার বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল বলা হয়। হোইয়া বাছিউ জঙ্গলকে ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল’ বলা হয়। এই জঙ্গলে এমনভাবে গাছ ও বৃক্ষের স্তর রয়েছে আলো পড়লে তাদের অত্যন্ত ভয়ানক দেখতে লাগে। সূর্যের আলো থাকলেও এখানের ভয়ঙ্কর আবহাওয়া আদৌ কমে না।

ঐ বনে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা প্রায়ই বিভিন্ন তীব্র উদ্বেগ জনক অনুভূতি অনুভব করে থাকে। তারা বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে। মাঝে মাঝে বনের গাছপালা ও শাখা প্রশাখা অদ্ভুত রকমের আচরণ করে এবং তারা কোনো ধরণের বাতাস প্রবাহ ছাড়াই দ্রুততর ভাবে নরতে থাকে।

পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গল, গেলে আর কেউ ফিরে আসে না - West Bengal News 24
মাঝে মাঝে বনের গাছপালা ও শাখা প্রশাখা অদ্ভুত রকমের আচরণ করে

এই জায়গাতে লোকজন ইউএফও থেকে ভূত-প্রেত সব কিছু নিয়েই গল্পকথা বলে। এই জঙ্গল নিয়ে আগ্রহ তখন শুরু হয় যখন মানুষ এই জঙ্গলে হারিয়ে যেতে শুরু করে।এই জঙ্গলের কাছাকাছি যারা বাস করেন তাদের পূর্বপুরুষরাও এই জঙ্গল নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বলতেন। সবচেয়ে প্রধান যে কাহিনী শোনা যায় তাতে এক মেষপালক তার ২০০ ভেড়া নিয়ে জঙ্গলে গিয়ে হারিয়ে যায়, সেই মেষপালক ও তার ২০০ ভেড়া কেউই আর ফেরেনি।

পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গল, গেলে আর কেউ ফিরে আসে না - West Bengal News 24
এই বনে প্রবেশ করলে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়

এই বনে প্রবেশ করলে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যেমন- বমি বমি ভাব, অনেক লাল লাল ফুসকুড়ি, বমি, মায়গ্রেইনস, পোড়া, উদ্বেগ, এবং অন্যান্য অস্বাভাবিক রকম উত্তেজনা অনুভূতি সহ শারীরিক ক্ষতি।

আরও পড়ুন ::

Back to top button