কেন্দ্র বিদ্বেষের রাজনীতি করে মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে: ফিরহাদ হাকিম
আজ ৭৩ প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত করল কলকাতা পুরসভা। পুরসভায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের পাশাপাশি নেতাজি ট্যাবলো বাতিল ইস্যুতে কেন্দ্রকেও এক হাত নিয়েছেন ফিরহাদ।
এদিন কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, কেন্দ্র যেভাবে বাংলাকে বঞ্চনা করছে, যেভাবে বাংলাকে অপমান করছে, ভারতবর্ষের মধ্যে বাংলা একটা ঘৃণার বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলার যে দাবী-দাওয়া সেটা দিচ্ছে না। বাংলা থেকে জোরজবরদস্তি আমলাদের তুলে নিচ্ছে। যারা রিটায়ার হয়ে গেছেন তাদের প্রতি বিদ্বেষী মনোভাব করে অত্যাচার করছে। আর কেন্দ্রের এই আচরণের প্রতিবাদের করছেন গুণীজন মানুষজন।
ফিরহাদের অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার বিদ্বেষের রাজনীতি করে মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে। যারা বাংলা কে ভালোবাসেন তারা পদ্ম পুরষ্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় একটা বড় মানুষ, পদ্ম পুরষ্কার দিয়ে তাঁকে অপমান করা হচ্ছে। তাকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বঙ্গবিভূষণে সম্মানিত করা হয়েছে। তাকে আরও বড় সম্মান দেওয়া উচিত্ ছিল।
আরও পড়ুন: সংবিধানের বাইরে একটি শব্দও বলেননি রাজ্যপাল: শুভেন্দু
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতা কোনও দিনই সরকারি অনুষ্ঠানে থাকে না। অনেক জায়গায় তার নামে সিট থাকলেও সেটা ফাঁকা থাকে।
নেতাজির ট্যাবলো বাতিল করছে কেন্দ্র। এখন চাপে পড়ে নেতাজির মূর্তি লাগাচ্ছে। আর নীতি পরিবর্তন করছে। আমরা বলি শ্রদ্ধা মূর্তি দিয়ে নয়, শ্রদ্ধা মন থেকে আসতে হয়। নেতাজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে একদিকে ধিল্লোনকে নিয়ে, অন্য দিকে শাহনাওয়াজকে নিয়ে চলতে হয়। তখনই নেতাজিকে প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হয়, বলেন ফিরহাদ হাকিম।
‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র স্বপ্নের সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছেন। যাতে মানুষের ক্ষতি না হয় । হিট অ্যান্ড রান কেসে কারও প্রাণ না যায়, তার জন্য কিছু শাস্তি ও ফাইন বাড়ানো হয়েছে। যাতে শুধুমাত্র ৫০০ টাকা ফাইন দিয়ে কেউ যেনো নিজের দায় না এড়াতে পারে।
আমরা চাই কোনও একজনও যাতে ফাইন না দেয়। কেউ ফাইন না দিলে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হব। কিন্তু যারা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘণ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’, বলেও জানান ফিরহাদ হাকিম।