ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা রাশিয়ার!
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ১০২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ দাবি করেছে। নিহতদের মধ্যে ৭ শিশুও রয়েছে বলে জানা গেছে।
ইউক্রেনে বর্তমানে প্রচুর ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। এ যুদ্ধে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং বহু মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন।
বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ছবি ট্যুইট করে জানিয়েছে যে রাশিয়া-ইউক্রেনের বৈঠকের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন শুধু দুই দেশের প্রতিনিধিদলের অপেক্ষা।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য বেলারুশে পৌঁছেছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বলেছে যে রাশিয়ার সাথে আলোচনার মূল লক্ষ্য একটি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং রাশিয়ান সেনা প্রত্যাহার।
রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের প্রায় এক হাজার সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে।
রাশিয়ার জাইটোমির আক্রমণে ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। বেলারুশ এই বিমান হামলা চালায়। যদিও বেলারুশ বলেছিল যে তারা তার অঞ্চল থেকে বিমান হামলার অনুমতি দেবে না, তবুও এটি ঘটেছে। এ হামলায় পুরোনো ভবনটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মনে হচ্ছে যুদ্ধের মাঝে ইউক্রেন মার্কিন সাহায্য পেতে শুরু করেছে। প্রকৃতপক্ষে, রাশিয়ান সেনাবাহিনী মারিউপোল থেকে মার্কিন তৈরি একটি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল লঞ্চার বাজেয়াপ্ত করেছে।
আরও পড়ুন: হামলার মধ্যেই কিয়েভে কারফিউ প্রত্যাহার!
গত পাঁচ দিন ধরে ইউক্রেনে একটানা যুদ্ধ চলছে। এদিকে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন সেখানকার নাগরিকরা।
ইউক্রেনের এক নাগরিক এক প্রতিবেদনের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “ইউক্রেনে আমার পরিবারের আমাকে প্রয়োজন। বোমা হামলার ঘটনা ঘটার কারণে মানুষ সেখানে খাবার কিনতে পারে না। এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতি সেখানে।”
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে সপ্তাহান্তে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে।
দেশের পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য সব শিক্ষার্থীকে রেলস্টেশনে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেন রেলওয়ে উচ্ছেদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে।