আন্তর্জাতিক

রাশিয়া-ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত

Ukraine Russia War : রাশিয়া-ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত - West Bengal News 24

বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য মানবিক করিডোর খুলতে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) উভয় পক্ষের প্রতিনিধি দলের দ্বিতীয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক টুইটার পোস্টে বলেন, দ্বিতীয় দফা আলোচনা শেষ হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, ইউক্রেনের জন্য প্রয়োজনীয় ফলাফল এখনও আসেনি। শুধু মানবিক করিডোর খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের অষ্টম দিনে পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তে রুশ ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উভয় পক্ষই বেসামরিক নাগরিকদের জন্য একটি উপায় বের করতে সম্মত হয়েছেন বলে রাশিয়ান প্রতিনিধিরা নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন :: খাবারের জন্য দীর্ঘ সারি ইউক্রেনের শহরে, পথে বুভুক্ষু মানুষ

রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের প্রধান ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ভ্লাদিমির মেডিনস্কি বলেন, সামরিক সংঘর্ষের অঞ্চলে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের বাঁচানোর বিষয়ে আমরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেন, রাশিয়া বেসামরিক লোকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যদি তারা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পড়েন, তাহলে মানবিক করিডোরগুলো ব্যবহার করার জন্য।

রাশিয়ার আরেকজন প্রতিনিধি ও আইনপ্রণেতা লিওনিড স্লুটস্কি বলেন, সিদ্ধান্তগুলো ‘অদূর ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করা হবে’।

এর আগে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা ধরে আলোচনা করেন। কিন্তু বড় কোনো ফলাফল ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ইউক্রেন দাবি করেছে, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের দুই হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যদিও নিহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানায়নি তারা। এ ছাড়া রাশিয়ার ৫ হাজার ৪৮০ সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে দাবি ইউক্রেনের।

অন্যদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, যুদ্ধে তাদের ৪৯৮ সৈন্য নিহত এবং আরও এক হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া রুশ হামলায় ইউক্রেনের ২ হাজার ৮৭০ জনের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত এবং প্রায় ৩ হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছে।

সূত্র : আলজাজিরা, এনডিটিভি

আরও পড়ুন ::

Back to top button