ঝাড়গ্রাম: নিকাশি অবরুদ্ধ হয়ে ঝাড়গ্রাম শহরের জুবিলি বাজারের মাছ পট্টির নরককুণ্ড অবস্থা। নর্দমার নোংরা কাদা জল থৈথৈ করছে। হাঁটাচলার উপায় নেই।
মাছ বাজারটির দায়িত্বে রয়েছে ভূমি দফতর। ফলে আজ পর্যন্ত আইনি জটিলতায় পুরসভা বাজারটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। ছোট্ট পরিসরে পাইকারি ও খুচরো মাছের বাজার বসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। সব মিলিয়ে ছোট বড় মিলিয়ে শ’খানেক মাছ বিক্রেতা প্রতিদিন বসেন। তবে মূল আড়ৎদার ও বড় মাছ ব্যবসায়ী আছেন জনা বারো।
রোজ ভোর বেলা গাড়িতে অথবা বাইকে করে মাছ আসে ঝাড়গ্রামের জুবিলি বাজারের মাছ পট্টিতে। ভোর বেলা পাইকারি মাছ কেনাবেচার জন্য ঘিঞ্জি জুবিলি বাজারে মাছ ব্যবসায়ী ও খুচরো বিক্রেতারা ভিড় করেন। গ্রাম থেকেও মাছ কেনার জন্য আসেন খুচরো বিক্রেতারা। কে আগে মাছ কিনবেন, সেই নিয়ে হুড়োহুড়ি হয়।
আরও পড়ুন :: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাজ্য সড়কের ধারে দোকান ঘরে ধাক্কা মারল ডাম্পার
ঝাড়গ্রাম বাজারে বেশির ভাগ মাছ আসে বাঁকুড়া, মেচেদা, পাঁশকুড়া ও ময়না এলাকা থেকে। মেচেদা ও পাঁশকুড়ার মাছ আসে ট্রেনে। বাদবাকি এলাকাগুলি থেকে মাছ আসে সড়কপথে। মাছের কাঁটা, আঁশ ও বর্জ্য জমে নিকাশি অবরুদ্ধ হয় মাঝে মধ্যেই।
শনিবার থেকে বাজারের নরককুণ্ড চেহারা দেখে শঙ্কিত ক্রেতারা। মাছ ব্যবসায়ী বাবলু রাউৎ, রামকৃষ্ণ দত্তরা জানাচ্ছেন, নিকাশির সমস্যার কারণেই এমন পরিস্থিতি।
নতুন পুরবোর্ড গঠন এখন সময়ের অপেক্ষা। সকলেই চাইছেন, সমস্যা মেটাতে পদক্ষেপ করুক পুরসভা।