“ঘরের ছেলে ছিলাম, ঘরে ফিরেছি” : অর্জুন সিং
“আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যে ঘরের ছেলে ছিলাম সেই ঘরে ফিরে এসেছি।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়ে এমনটাই বললেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।
এদিন অর্জুন বলেন, “তৃণমূলের কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমি দলের সঙ্গে রয়েছি। মাঝে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তারপর বারাকপুর থেকে সাংসদ হয়েছি।
কিন্তু বিজেপি যে ফেসবুক নির্ভর রাজনীতি করে তাতে আমার কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল। আমরা সংগঠন করা লোক। ফেসবুকে আমরা রাজনীতি করতে পারি না। তাই পুরনো দলে ফেরত এলাম। (Arjun Singh TMC)”
তাঁর কথায়, “এই ঘর তৈরি হওয়া থেকে ছিলাম। মাঝখানে একটা ভুল বোঝাবুঝিতে আমি বিজেপিতে যাই। আমি ওখানে সাংসদ হই। কিন্তু আমি আবার ফেরত এলাম। আমার সাংসদীয় এলাকায় একাধিক জুট মিল বন্ধ হয়ে গেছে।
আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অনেকবার বলেছি। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী গত নভেম্বরে পাট শিল্পের দুরবস্থা নিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন।
আমিও তার পর সরব হই৷ একাধিকবার চিঠি দিয়েছি টেক্সটাইল মন্ত্রককে। এর পরে সামান্য কিছু আদায় করতে পেরেছি। ৭৫% আদায় করতে পারিনি। দাবি আদায় করতে না পারলে শিল্পের ক্ষতি হবে।”
অর্জুন সিং আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে ভারতবর্ষে খুব তাড়াতাড়ি বড় লড়াই শুরু হচ্ছে আপনারা কয়েকদিনে দেখতে পাবেন। দুই সাংসদ তৃণমূলের প্রতীক নিয়ে এখন ওখানে আছে। আগে তারা ইস্তফা দিয়ে আসুক। আমি ইস্তফা দিয়ে ভোটে চলে যাব।
আমার ছেলে আজ অসুস্থ তাই আসতে পারেনি। ও চলে আসবে শীঘ্রই। মুখ্যমন্ত্রী যেদিন ডাকবেন সেদিন চলে যাব। ওনার আদেশ, নির্দেশ ছাড়া কিছু হয় না।বাংলায় বিজেপির জেতা অত সহজ নয়। বাংলার বাইরের বিজেপি আর এই রাজ্যের বিজেপি এক নয়।”
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই দলবদলের জল্পনা উসকে দিচ্ছিলেন অর্জুন সিং। পাটশিল্পের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। তার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হলেও অর্জুনের মত বদলায়নি বলেই ইঙ্গিত দেন তিনি। নিজেই জানান, “শেষের কাউন্টডাউন শুরু”। রবিবার বিকেলে পুরনো দল তৃণমূলেই অবশেষে ফিরলেন তিনি।
শুরু করলেন আরও একটি পর্ব। উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার অর্জুনের দলবদলের ইতিহাস রয়েছে। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল, বিজেপি হয়ে ফের ঘাসফুলে ফিরলেন এই রাজনৈতিক নেতা। আগামী দিনে তাঁর রুট কী হয় সেদিকে তাকিয়ে এখন রাজনৈতিক মহল।