আন্তর্জাতিক

বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে গ্রেফতার আশঙ্কায় প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

Imran Khan বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে গ্রেফতার আশঙ্কায় প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান - West Bengal News 24

গ্রেফতার করা হতে পারে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে! আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় সে দেশের শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থা ‘ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’র (এফআইএ) জোড়া নোটিসের জবাব দেননি ইমরান। তিন নম্বর নোটিস দেওয়ার পরও জবাব না মিললে ইমরানকে গ্রেফতার করা হতে পারে।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় গত শুক্রবার ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) দ্বিতীয় নোটিস পাঠায় এফআইএ। কিন্তু সেই নোটিসের কোনও জবাব দেননি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। শুধু তা-ই নয়, গত ১০ অগস্ট প্রথম নোটিসের প্রেক্ষিতে তদন্তকারী সংস্থার কাছে হাজিরাও দেননি ইমরান। এর পর তদন্তকারী সংস্থার তরফে তিন নম্বর নোটিস পাঠানো হবে। সেই নোটিসেরও জবাব না দিলে ইমরানকে গ্রেফতার করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এফআইএ।

জানা গিয়েছে, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রিটেন, বেলজিয়ামে পাঁচটি সংস্থার হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, ওই পাঁচ সংস্থা থেকে ইমরানের দলে অর্থ সরবরাহ করা হয়েছিল, যা পাক নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় উল্লেখ করা হয়নি। চলতি মাসের শুরুতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, ইমরানের পিটিআই বেআইনি ভাবে ৩৪ জন বিদেশি নাগরিকের থেকে তহবিল সংগ্রহ করেছে। যাঁর মধ্যে রয়েছেন এক জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী। এই মামলায় ইমরানের দলকে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দিয়েছিল কমিশনের তিন সদস্যের বেঞ্চ। ইমরান ও তাঁর দলের থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে এই মামলা দায়ের করেছিলেন পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আকবর এস বাবর। যিনি বর্তমানে পিটিআইয়ের সঙ্গে যুক্ত নন।

এফআইএ-র নোটিস প্রত্যাহার করতে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইমরান। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি উত্তর দিতে বাধ্য নই। কোনও তথ্য পেশ করতেও বাধ্য নই। দু’দিনের মধ্যে নোটিস যদি প্রত্যাহার না করা হয়, তা হলে আইনি পদক্ষেপ করব।’’ তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করতে তাদের হাতে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে।

সূত্র : আনন্দবাজার

আরও পড়ুন ::

Back to top button