রাজ্য

ঝড় ঠেকাতে বাংলার দ্বারস্থ মোদির গুজরাত

ঝড় ঠেকাতে বাংলার দ্বারস্থ মোদির গুজরাত

ঝড় আটকাতে ম্যানগ্রোভের ভূমিকার তুলনা নেই। ২০২০ সালে আমফান, ২০২১-এর ইয়াসের মতো ঝড়ে বিপুল ক্ষতি আটকে দিয়েছিল সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ৷ এবার ঝড় ঠেকাতে বাংলার দ্বারস্থ মোদির গুজরাত-সহ ৬ রাজ্য। সুন্দরবন অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ অরণ্য থাকায় বহু ঝড়ের বিপুল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গ-সহ কলকাতা।

ঝড় হলে ম্যানগ্রোভ বর্মের ভূমিকা নেয়। ঝড়ের দাপট রুখে দেয় ম্যনগভের অরণ্য। ফলে উপকূলে প্রবেশ করার আগেই ভয়ঙ্কর ঝড় গতি কমাতে বাধ্য হয়। প্রাকৃতিকভাবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় রুখতে বাংলা আগেই এই উদ্যোগ নিয়েছে।

জানা যায়, রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বৃহত্তর ম্যানগ্রোভ অঞ্চলকে আরও বৃদ্ধি করা হবে৷ সেই মতো গত দু’বছর ধরে দুই ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে প্রায় ১৫ কোটি ৫৪ লক্ষ ম্যানগ্রোভ রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরবনের একটা বড় অংশ দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ম্যানগ্রোভ রোপণ করা হয়েছে ১২ কোটির বেশি৷ গোটা বাংলা মিলিয়ে ইতিমধ্যে ২৪১৩ হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভ চারা বসানো হয়েছে।

ঝড় ঠেকাতে বাংলার দ্বারস্থ মোদির গুজরাত

সুন্দরবন অঞ্চল এবং উপকূলবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে ম্যানগ্রোভের চারা লাগানো হয়েছে। বাংলার সেই জ্ঞানকে এবার কাজে লাগাতে চায় বাকি দেশ। তাই মোদির গুজরাত-সহ দেশের ৬টি রাজ্য বাংলার দ্বারস্থ হল।

রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, “এই ১৫ কোটি ৫৪ লক্ষ ম্যানগ্রোভ আমরা কী ভাবে রোপণ করলাম সেই অভিযান দেশের বাকি রাজ্যগুলিকে শেখাবে বাংলা। বাংলার তরফে গুজরাতের প্রতিনিধিদের ৯ রকমের ম্যানগ্রোভ বীজ দেওয়া হয়েছে। এর আগে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরল এবং ওড়িশাও এই প্রযুক্তি চেয়েছিল বাংলার কাছে। ইতিমধ্যে রাজ্য বন দফতরের সচিব বিবেক কুমার-সহ চার জনের দল দিল্লি গিয়ে এই রাজ্যগুলির প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button