Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
নদীয়া

প্লাস্টিক বর্জনের বার্তা নিয়ে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে ‘কৃষ্ণনগর পরিবেশ বন্ধু’

প্লাস্টিক বর্জনের বার্তা নিয়ে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে ‘কৃষ্ণনগর পরিবেশ বন্ধু’

দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল দেখতে বেরিয়ে হঠাৎ চোখে পড়তে পারে একটি পোস্টার— ‘একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সম্পূর্ণরূপে বর্জন করুন’। ১ অক্টোবর ২০২২ মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যায় শহরের পুজো প্যান্ডেলগুলিতে ‘কৃষ্ণনগর পরিবেশ বন্ধু’-র সদস্যরা প্লাস্টিক বর্জনের আবেদন জানিয়ে এই পোস্টারগুলি লাগিয়ে দেন। পোস্টারের নিচের অংশে আরেকটি কথাও দেখতে পাওয়া গেল— “প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নেব না, প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ দেবো না।” শহরের পুজো কমিটির প্রতিনিধিরাও কৃষ্ণনগর পরিবেশ বন্ধুর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

২০২২ -এর ১লা জুলাই থেকে রাজ্যে সরকারি ভাবে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পুরোপুরি নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবে রাজ্যজুড়ে প্লাস্টিকের অবাধ বিচরণ। দোকান বাজারে অহরহ চলছে নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ব্যবহার। এর বিরুদ্ধেই লড়ে যাচ্ছেন কৃষ্ণনগরের পরিবেশ বন্ধুরা। বিগত বছরগুলিতেও তারা এই ধরনের প্লাস্টিক বিরোধী পোস্টার কর্মসূচি করেছেন। তবে এ বছরটি বিশেষ, কারণ এখন প্লাস্টিক সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ।

কৃষ্ণনগর পরিবেশ বন্ধুর সদস্যরা পুজো প্যান্ডেলগুলিতে প্লাস্টিক বর্জনের আবেদন জানানোর মধ্যে দিয়ে পুজো দেখতে বার হওয়া মানুষদের সচেতন করতে চাইছেন। তারা সকলকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে বলছেন। এদিন তারা ঘূর্ণির তরুণ সংঘ, শিবতলা বারোয়ারি, কৃষ্ণনগর জেলখানার পুজো মণ্ডপ, ঘূর্ণি বারোয়ারি, পুলিশ লাইনের পুজো, ক্লাব ৫১বর্তী প্রভৃতি পুজো প্যান্ডেলে প্লাস্টিক বিরোধী প্রচার চালান।

পরিবেশ বন্ধু দীপাঞ্জন দে তাদের প্লাস্টিক বিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে বলেন, “২০১৯ সালের শেষের দিকে কৃষ্ণনগরে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পৌরসভা এবং কৃষ্ণনগর পরিবেশ বন্ধুর নিয়মিত যৌথ নজরদারি অভিযানের ফলে এটি সম্ভব হয়েছিল। তারপর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্লাস্টিক আবার ফিরে আসে।

আমাদের প্লাস্টিক বিরোধী আন্দোলন চলছেই। এখন তো সরকারিভাবে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিন্তু তবুও হাটে বাজারে এর দেখা মিলছে। আমরা মনে করি জনগণের যেমন সচেতন হওয়া প্রয়োজন, তেমনি প্রশাসনেরও নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত হওয়া প্রয়োজন। তবেই এই সমস্যার নিরসন হবে।”

আরও পড়ুন ::

Back to top button