উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হতে চলেছে সঙ্ঘ পরিবারের কার্যসমিতির সভা। চলতি মাসে ১৭ তারিখ থেকে শুরু হওয়া এই সভা চলবে চারদিন। বিজয় দশমীর দিন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত দলকে দিশা-নির্দেশ দিয়েছেন। তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ঠিক করতে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে বলে সঙ্ঘ নেতারা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, এ বছর বিজয়া দশমীতে ধর্মভিত্তিক সামাজিক ভারসাম্য বজায় রাখা, মাতৃভাষায় শিক্ষার মতো বিষয়গুলি নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন ভাগবত।
এ বিষয়ে সঙ্ঘ পরিবারের মুখপাত্র সুনীল অম্বেকর বলেন, ‘‘বিজয়া দশমীর দিন বেশকিছু বিষয়ে সঙ্ঘ প্রধান বক্তব্য রেখেছিলেন। আগামী দিনে তা বাস্তব রূপায়িত করতেই বৈঠকে আলোচনা হবে।’’ জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি ২০২৫ সালে দলের ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান পালনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। এছাড়া বর্তমানে শাখার প্রায় ৫৫ হাজার দফতর রয়েছে। তবে শীঘ্রই এই সংখ্যাটা বাড়িয়ে এক লক্ষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্যে জোর দেওয়া প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভাগবত জানিয়েছিলেন, ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্যের অসাম্য ভৌগোলিক সীমানা পরিবর্তনের সম্ভবনা প্রবল করে। জনসংখ্যার ভারসাম্য না থাকলে, তার প্রভাব পড়ে দেশের রসদেও। তাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সঙ্ঘ পরিবার দীর্ঘ সময় ধরে আইনের পক্ষে সওয়াল করে চলেছে। তারপরও ক’দিন আগেই সরকার জানিয়েছিল, জন্ম নিয়ন্ত্রণে ভাল ফল করায় সরকার ওই বিল আনার কথা ভাবছে না।
সরকারের আশা, ২০২৫ সালে দেশে জাতীয় গর্ভধারণের যে হার সরকার স্থির করেছিল, তা নির্দিষ্ট সময়ের আগে ছুঁয়ে যাবে। তবে আগামী দিনে আইন করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পক্ষে সঙ্ঘ পরিবার। সঙ্ঘের যুক্তি, জন্মহার যা কমেছে, তা মূলত কমেছে হিন্দু সমাজেই। মুসলিম সমাজে জন্মহার কমার হার হিন্দুদের তুলনায় নগণ্য। এমনটাই জানিয়েছে সঙ্ঘ নেতাদের একাংশ। এইভাবে চললে আগামী দিনে দেশে সংখ্যাগুরু হয়ে দাঁড়াবে মুসলিমেরা। মূলত সেই কারণে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের পক্ষপাতী সঙ্ঘ পরিবার।