বায়ু দূষণের জর্জরিত নয়াদিল্লি। দূষণের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় ট্রাক ও বড় মালবাহী গাড়ি দিল্লিতে ঢোকা বন্ধ রেখেছিল প্রশাসন। দূষণের জেরে বেড়েছে সর্দি, কাশির সমস্যা।
সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, দিল্লির ৮০ শতাংশ পরিবার বায়ু দূষণ সংক্রান্ত অসুস্থতায় ভুগছে। দীপাবলির পর থেকেই দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গত কয়েক দিনে দূষণের সূচকে তা ধারাবাহিক ভাবে ‘ভয়াবহ’ আখ্যা পেয়েছে। শনিবার দিল্লির ‘বাতাসের গুণমানের সূচক’ (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) ‘অতি ভয়াবহ’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। শীঘ্রই এই দূষণ কমার সম্ভাবনা নেই। আশঙ্কার সঙ্গে একথা জানিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
শীত এলেই প্রায় প্রতি বছরই বায়ু দূষণের তীব্র সমস্যা দেখা যায় দিল্লিতে।কেজরিওয়াল সরকারের দাবি, এর মূল কারণ হল ফসলের গোড়া পুড়িয়ে দেওয়া। শীতের মুখে ফসল তুলে নেন পঞ্জাবের কৃষকরা। এর পরই নতুন করে জমিতে চাষ শুরু করতে ফসলের গোড়া পুড়িয়ে দেন কৃষকরা। আর সেই ধোঁয়া উড়ে আসে দিল্লিতে।
দূষণের কারণে দিল্লির বাতাসে ধোঁয়ার আস্তরণ তৈরি হয়েছে। বাসিন্দারা কেউ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। কেউ আবার চোখ জ্বালা, মাথা যন্ত্রণার মতো শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, দিল্লির বাতাস ক্রমশ হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বয়স্ক মানুষরা। শিশুদের ক্ষেত্রেও দিল্লির বাতাস ক্ষতিকারক হয়ে উঠেছে। যাঁদের হৃৎপিণ্ড কিংবা ফুসফুসের অসুখ রয়েছে, তাঁদের পক্ষে এই বাতাস উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে মাস্ক পরে চলাফেরার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা