নদীয়া

‘মুক্তধারা’-র ৪৩ তম আলোচনাসত্র

দীপাঞ্জন দে

‘মুক্তধারা’-র ৪৩ তম আলোচনাসত্র

১৩ নভেম্বর ২০২২ (রবিবার) মুক্তধারার ৪৩তম আলোচনাসত্র অনুষ্ঠিত হল কৃষ্ণনগরে। এদিনের আলোচনাসত্রের বিষয় ছিল ‘বিজ্ঞানের মেজাজ নিয়ে দু-চার কথা’। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার ইতিহাস হল তাঁর বিশেষ আগ্রহের বিষয়।

বিজ্ঞানের ইতিহাসচর্চা নিয়ে তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্যের কথা অনেকেই জানেন। মুক্তধারার ৪৩তম আলোচনাসত্রটি কৃষ্ণনগর পৌরসভার দ্বিজেন্দ্র মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের আলোচনাসত্র শুনতে বহু মানুষ সভাগৃহে একত্রিত হয়েছিলেন। মুক্তধারার তিনজন আহ্বায়ক সম্পদনারায়ণ ধর, তপনকুমার ভট্টাচার্য এবং দীপাঞ্জন দে দর্শক-শ্রোতাদের এরূপ অংশগ্রহণে আনন্দ প্রকাশ করেন।

‘মুক্তধারা’-র ৪৩ তম আলোচনাসত্র

মুক্তধারার প্রথা অনুযায়ী এদিনের আলোচনাসত্রের শুরুতে একটি উদ্বোধন সংগীত পরিবেশিত হয়। শ্রীমতি নূপুর বসু উদ্বোধন সংগীত পরিবেশন করেন। উদ্বোধন সংগীতের পর এদিনের আলোচনাসত্রের সঞ্চালক দীপাঞ্জন দে আলোচক ড. সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়কে আলোচনা শুরু করার জন্য অনুরোধ করেন। শুরু হয় ‘বিজ্ঞানের মেজাজ নিয়ে দু-চার কথা’।

ড. সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের প্রায় এক ঘন্টা দশ মিনিটের মনোজ্ঞ আলোচনা মুক্তধারার শ্রোতা-দর্শকেরা বেশ মন দিয়ে উপভোগ করেন। চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কুসংস্কারের কথা হোক, কিংবা কেরালার মতো রাজ্যে সাম্প্রতিককালে নরবলির উদাহরণ, আবার অতিমারিকালে আবির্ভূত হওয়া করোনাশুর বা ভাবিজি পাঁপড়ের মতো বিজ্ঞানের মেজাজ বিরোধী কুসংস্কারের কথা —এ ধরনের অনেক কিছুই এ দিনের আলোচনায় তুলে ধরা হয়।

‘মুক্তধারা’-র ৪৩ তম আলোচনাসত্র

আলোচক প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সুন্দরভাবে বিষয়গুলি দর্শকদের সামনে পরিবেশন করেন। বিজ্ঞানের মেজাজ তৈরিতে অক্ষয়কুমার দত্ত থেকে শুরু করে প্রফুল্লচন্দ্র রায়, জগদীশচন্দ্র বসু, গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য, সত্যেন্দ্রনাথ বসুর মতো ব্যক্তিদের যথাসাধ্য প্রয়াসের কথাও আলোচক স্মরণ করতে ভোলেননি।

এমনকি এক ঘণ্টা আগে কৃষ্ণনগরের এক অধ্যাপকের বাড়ির পাঁচিলে নীল জলের বোতল ঝোলানো দেখতে পাওয়ার অভিজ্ঞতাও বক্তা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। সার্বিক দিক থেকে বলা যায় মুক্তধারার ৪৩তম আলোচনাসত্রে আলোচক ড. সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের বিজ্ঞানের মেজাজ তৈরির প্রয়াস দর্শক-শ্রোতা বন্ধুরা বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করেন।

লেখক: অধ্যাপক, চাপড়া বাঙ্গালঝি মহাবিদ্যালয়, নদিয়া।

আরও পড়ুন ::

Back to top button