স্নানের সময় লোক দিতে হবে, যিনি সেই ড্রাম থেকে জল তুলে তাঁর গায়ে ঢেলে দেবেন। এবার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে এমনটাই বায়না ধরলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। তাঁর একের পর এক আবদারে নাজেহাল জেল কর্তৃপক্ষ।
নিরাপত্তার কারণে ‘পহেলা বাইশ’ ওয়ার্ডে পার্থের দু’নম্বর সেলের সামনে বড় প্লাস্টিকের ড্রামে জল রাখা থাকে। এত দিন তিনি নিজেই মগ দিয়ে সেই ড্রামের জল তুলে স্নান করতেন। এখন তাঁর আবদার, স্নানের সময় লোক দিতে হবে, যিনি ড্রাম থেকে জল তুলে তাঁর গায়ে ঢেলে দেবেন।
জেল-কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছে, এটা সম্ভব নয়। কারণ, এই ধরনের কোনও আইন বা বিধি নেই। পার্থ অসুস্থ নন। শারীরিকভাবেও সক্ষম। সে-ক্ষেত্রে এমন ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়।
পার্থর এমন নাছোড় অদ্ভুত বায়না এইবারই প্রথম নয়। এর আগে খাবার নিয়েও নানা বায়না করছেন পার্থ। এমনটাই খবর জেল সূত্রের। প্রেসিডেন্সি জেলের নিয়ম অনুযায়ী, সপ্তাহে তিন দিন দুপুরে বন্দিদের আমিষ পদ দেওয়া হয়। যেদিন মাছ রান্না হয় সেদিন প্রত্যেক বন্দি দু’টুকরো করে পান। আর মাংস হলে চার টুকরো।
কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বায়না করছেন, মাছ হলে তাঁকে চার টুকরো আর মাংস হলে ছ’টুকরো করে দিতে হবে। তাঁর এমন সব আবদারে নাজেহাল কারারক্ষীদের একাংশ।
কারাকর্তারা অবশ্য দাবি করেছেন, পার্থর কোনও অন্যায্য আবদারই মেটানো হচ্ছে না। নিয়ম মেনে সব বন্দিকে একই মেনুর খাবার দেওয়া হয়। তবে পার্থ রোজই নিজের টাকা দিয়ে ক্যান্টিন থেকে খাবার আনিয়ে খাচ্ছেন। সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর সেলের সামনে গিয়ে ক্যান্টিনের তরফে খাবার বিক্রি করা হচ্ছে। আর প্রতি সপ্তাহে পার্থর আইনজীবী ও আত্মীয়েরা সেই টাকা জমা দিচ্ছেন। তবে চিকিৎসকদের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁর খাবারের দিকে সতর্ক থাকা হচ্ছে।