নির্মলার (Nirmala Sitaraman) বাজেট পেশের দিনই এফপিও তুলে নিল আদানি গোষ্ঠী, ফেরাবে বিনিয়োগকারীদের টাকা। গৌতম আদানির (Goutam Adani) শিল্পগোষ্ঠীর ‘প্রতারণা’ নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকে টানা পড়ে চলেছে তাদের সাতটি সংস্থার শেয়ার দর।
আমেরিকার শেয়ার গবেষণা সংস্থাটিকে দেওয়া ৪১৩ পাতার জবাবে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ‘ভারত, দেশের প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক বৃদ্ধির উপরে আক্রমণ’ বলেও তোপ দেগেছিলেন আদানিরা। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন শেয়ার ছাড়ার যে সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়েছিল, তা আপাতত কার্যকর হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই যাঁরা এফপিও-তে লগ্নি করেছেন, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়ার কথাও জানিয়েছে আদানি গোষ্ঠী (Adani Group)।
৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আদানি এন্টারপ্রাইজের (Adani Enterprise) ওই এফপিও-তে শেয়ার বিক্রি হয়েছে। কিন্তু হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট সামনে আসার পরে গত শুক্রবার প্রথম দিনে এই শেয়ার কিনতে আবেদন জমা পড়েছিল মাত্র ১ শতাংশ। যদিও হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসার পর গত সপ্তাহে আদানি গোষ্ঠী জানিয়েছিল। তারা এফপিও ছাড়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসবে না।
এফপিও-র ক্ষেত্রে সময়সীমা বা শেয়ারের দাম বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। তা নির্দিষ্ট সময় অনুসারেই চলবে। হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ উড়িয়ে তাঁর পাল্টা, গবেষণা সংস্থাটি সব নথি না-পড়েই রিপোর্টটি লিখেছে। এই পরিস্থিতিতে এফপিও-র সময়সীমা নিয়ে নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর পিছু হটা ‘সমস্যা গভীরতর হওয়ার বার্তা’ বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
শেয়ার বিক্রি ও তার দরে বিপুল পতনের জেরে লগ্নিকারীরা হারিয়েছেন প্রায় ৫ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি। আর সব মিলিয়ে বিএসই-র বিনিয়োগকারীদের মুছেছে প্রায় ১১ লক্ষ কোটির শেয়ার সম্পদ। যা নিয়ে তদন্তে নেমেছে সেবি (Sebi) ও এক্সচেঞ্জগুলি। ইতিমধ্যে কারচুপির অভিযোগ ওঠা আদানি গোষ্ঠীতে (Adani Group) এলআইসি (LIC) সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও ব্যাঙ্কের লগ্নি এবং ঋণ নিয়ে তোপ দেগেছে বিরোধীরা।