আন্তর্জাতিক

ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সুনামির ধাক্কা, তাপমাত্রা কোথাও তিন ডিগ্রিতে আবার কোথাও হিমাঙ্কের নিচে

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

Turkey Earthquake : ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সুনামির ধাক্কা, তাপমাত্রা কোথাও তিন ডিগ্রিতে আবার কোথাও হিমাঙ্কের নিচে - West Bengal News 24

যত দিন যাচ্ছে ততই ক্রমশ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে তুরস্ক (Terkey) এবং সিরিয়া (Syria)। ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। আহত এর সংখ্যা ৩৫ হাজারের অধিক।

এতকিছু সত্বেও নিস্তার পাননি সেখানকার বাসিন্দারা। ভূমিকম্পের (Earthquake) পর সুনামির ধাক্কায় জর্জরিত তুরস্ক। কোথাও তাপমাত্রা (Temparature) নেমে গিয়েছে তিন ডিগ্রিতে কোথাও আবার হিমাঙ্কের নিচে। সাথে চলছে তুষারপাত (Snow Fall) এবং বৃষ্টি।

ফলে ভূমিকম্পের হাত থেকে বেঁচে গিয়েও স্বস্তিতে নেই তুরস্কের (Terkey) মানুষ। হাড় জমানো ঠান্ডায় মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও জুটছে না। ফলে বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নীচে কাটাতে হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ সকলকে। প্রবল ঠান্ডা আর বৃষ্টির (Rain) মধ্যে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলেও তুরস্ক প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। বহু এলাকায় রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকারীরা পৌঁছতে পারছেন না। পৌঁছচ্ছে না ত্রাণও। ফলে এলাকায় এলাকায় ক্ষোভ বাড়ছে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভূমিকম্পে বেঁচে গিয়েও প্রাণ সংশয় তৈরি হচ্ছে। হাড় জমানো ঠান্ডা আর খিদের জ্বালায় অনেকেই মৃত্যুমুখে যেতে বসছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চরম ঠান্ডায় খোলা আকাশের নীচে যাঁরা দিন কাটাচ্ছেন, হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। এতে শরীরের তাপমাত্রা (Temparature) দ্রুত কমে যাবে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

বহু জায়গায় উদ্ধারকাজ না হওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বুধবার দক্ষিণ তুরস্কের কম্পনবিধ্বস্ত এলাকাগুলিকে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট তায়িপ এর্দোয়ান। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, ভূমিকম্পে (Earthquake) বেঁচে ফেরা নাগরিকদের জন্য অস্থায়ী শিবিরের আয়োজন করা হবে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলির।

আমেরিকা , চিন এবং উপসাগরীয় দেশগুলি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ৭০টি দেশ ত্রাণ এবং উদ্ধারকারী দল পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ভারত ইতিমধ্যেই তুরস্ককে (Terkey) সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য ৪৫ সদস্যের একটি মেডিক্যাল দল (Medical Team) পাঠানো হয়েছে সেখানে।

প্রসঙ্গত , গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টে ১৭ মিনিটে ভয়াবহ ভূমিকম্প (Earthquake) হয় তুরস্ক (Terkey) এবং সিরিয়ায় (Syria)। কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। সেই কম্পনে যে ধ্বংসলীলা চলেছে তাতে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button