বর্ধমান

শিবরাত্রির পূর্ণতিথিতে ভক্তদের ভিড়, সেজে উঠেছে বর্ধমানের ঐতিহাসিক ১০৮ শিবমন্দির

দীপন চ্যাটার্জী

শিবরাত্রির পূর্ণতিথিতে ভক্তদের ভিড়, সেজে উঠেছে বর্ধমানের ঐতিহাসিক ১০৮ শিবমন্দির

আজ মহাশিবরাত্রি পুরাণ মতে, এই দিনেই ভগবান শিবের লিঙ্গ রূপটি প্রথমবারের মতো প্রকাশ পেয়েছিল। তাই এইদিন মহাদেবের ভক্তদের কাছে এক মহান দিন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই পুজোয় অংশ নিতে পারেন।

মূলত বিবাহিত মহিলারা স্বামীর মঙ্গলের জন্য এবং অবিবাহিতা মহিলারা মহাদেবের মতো স্বামী পাওয়ার আশায় এই শিবরাত্রি পালন করেন।আর এই মহা শিবরাত্রিতে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম দেখা যায় পূর্ব বর্ধমানের নবাবহাটের একশো আট শিব মন্দিরে । বহু ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এই মন্দিরের সাথে।

এই মন্দিরটির নাম একশো আট মন্দির হলেও এখানে রয়েছে মোট একশো নয়টি মন্দির। জপমালার মতো আছে একশো আটটি মন্দির। বাকি একটি একটু দূরে। বর্ধমানের একশো আট মন্দিরের খ্যাতি এখন ভারত জোড়া।

শিবরাত্রির পূর্ণতিথিতে ভক্তদের ভিড়, সেজে উঠেছে বর্ধমানের ঐতিহাসিক ১০৮ শিবমন্দির

সারা বছর দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ভক্তরা এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। বর্ধমানের নবাবহাটে প্রায় দুশো তিরিশ বছর আগে বহু অর্থ ব্যয় করে এই মন্দির স্থাপন করা হয়।

মহারাজা তিলকচাঁদ রায়ের স্ত্রী মহারানি বিষণকুমারীর বর্ধমানের নবাবহাটে ১০৮ শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এই মন্দিরের নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে। শেষ হয়েছিল ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে। সেই সময় বর্ধমান সংলগ্ন নবাবহাট এলাকায় মহামারি দেখা দিয়েছিল। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

স্বজনদের হারিয়ে শোকে কাতর হয়ে গিয়েছিলেন এই এলাকার বাসিন্দারা। এলাকায় মন্দির গড়ে বাসিন্দাদের ঈশ্বরমুখী করে তাঁদের শোক ভোলাতে চেয়েছিলেন বর্ধমানের মহারানিমা। সেই ভাবনা থেকেই নবাবহাটে এই একশো আট শিব মন্দির গড়েন তিনি। মহাআড়ম্বরে সেই মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button