বর্ধমান

দুই শিশুর মৃত্যু ঘিরে আতঙ্কে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

দুই শিশুর মৃত্যু ঘিরে আতঙ্কে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

করোনা বিদায় নিলেও অ্যাডিনো আতঙ্কে কাঁপছে বাংলা । শিশুদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তীব্র সংক্রমণ। জেলায় জেলায় বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। অবস্থা মোকাবিলায় কার্যত হিমসিম খাচ্ছে গোটা বাংলা। জেলাগুলির মধ্যে বর্ধমান জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

এ ব্যাপারে জেলা জুড়ে সচেতনতা মূলক প্রচারের পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জ্বর সর্দি শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুদের চিহ্নিত করে তাদের দ্রুত চিকিত্‍সা শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত দুইজন শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। চিকিৎসকরা অনুমান করছেন অ্যাডিনো আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাদের।

চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন যেকোনো ভিড় থেকে শিশুদের বিরত রাখতে এবং মুখে মাস্কের ব্যবহার করতে। সচেতনতা মূলক প্রচারে কাজে লাগানো হয়েছে আশাকর্মীদের।বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষের দাবি, দু’বছরের কম বয়সি ওই শিশুদের ওজন কম ছিল।

তাছাড়া তারা শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তারা অ্যাডিনোভাইরাজ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট-সহ অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে শতাধিক শিশু ভর্তি রয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে।

হাসপাতালে বেডের তুলনায় এখন অসুস্থ শিশুর সংখ্যা বেশি। সেই কারণে একটি বেডে দুটি করে শিশুকেও রাখতে হচ্ছে। তার রেসপিরেটরি ইলনেস (এআরআই) বা শ্বাসযন্ত্রে তীব্র সংক্রমণ ও জ্বরের উপসর্গ নিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হওয়ায় উৎকণ্ঠা আরও বেড়েছে।
সে আক্রান্ত ছিল কি না, তা বলা যাচ্ছে না।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তভ নায়েক বলেন, “বর্ধমান মেডিকেল কলেজ গবেষণাগারে ১৫ টি শিশুর নমুনা পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার মধ্যে ১৪ টি শিশুর নমুনা অ্যাডিনো পজেটিভ পাওয়া গিয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে সকলের চিকিত্‍সা চালানো হচ্ছে।”

আরও পড়ুন ::

Back to top button