১০০ দিনের সরকারি কাজের নাম করে গ্রামবাসীদের দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নিয়েছেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল (Trinamool Youth Congress) নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Santanu Banerjee) , এমনটাই অভিযোগ তুলছেন এলাকার প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান।
অভিযোগ, বলাগড়ে শান্তনুর যে রিসর্ট রয়েছে, তার চারপাশে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হয়েছে বেশ কিছু জমি। ১০০ দিনের কাজের টাকাতেই সেই কাজ করানো হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রামবাসীদের কারও কারও অভিযোগ, শান্তনুর রিসর্টের কাজ করেও তাঁরা প্রাপ্য টাকা পাননি।
ওই রিসর্টের জমির ভিতরেই ১০০ দিনের কাজের ফলক লাগানো রয়েছে। প্রাক্তন প্রধান আরও জানান, সব জেনেশুনেও ‘প্রভাবশালী’ শান্তনু (Santanu Banerjee) এবং তাঁর দলবলের ভয়ে তাঁকে চুপ করে থাকতে হয়েছিল।
কারণ তাঁরা প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। বিশ্বনাথের কথায়, ‘‘ওদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সাহস কারও ছিল না। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ওরা আমাকে মারধর করে। আমার এজেন্টকেও মেরে বুথ থেকে বার করে দেয়।’’
খাতায়কলমে বলাগড়ের চাঁদড়া বটতলা এলাকার ওই রিসর্টের মালিক সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ। তিনি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনুর (Santanu Banerjee) ছায়াসঙ্গী।
শনিবার সকালে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে রিসর্টে নিয়ে যান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আধিকারিকেরা। আকাশকে সঙ্গে নিয়েই তাঁরা এলাকা ঘুরে দেখেন।