বর্ধমান

পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বড়োসড়ো ভাঙন বর্ধমান বিজেপিতে, পদত্যাগ করলেন জেলা সহসভাপতি

পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বড়োসড়ো ভাঙন বর্ধমান বিজেপিতে, পদত্যাগ করলেন জেলা সহসভাপতি

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভাঙনের মুখে বঙ্গ বিজেপি। শুধু পদ ছেড়েই ক্ষান্ত নন বিজেপির জেলা সহ সভাপতি, দল ছাড়ারও ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের বিরুদ্ধে বেনজির অভিযোগ করে বিজেপি ছাড়ার বার্তা দিলেন বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি শ্যামল রায়।সাংসদ ও দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং তাদের কার্যত ‘অযোগ্য’ বলে তোপ দেগে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চাইলেন বর্ধমানের বিজেপি নেতা।

বিজেপির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেই তিনি পদ ছাড়েন। বেনজির অভিযোগ তুলে জেলা সহ সভাপতি শ্যামল রায় বলেন, দলে সম্মান বা গুরুত্ব কিছুই পাচ্ছেন না। তা তিনি দলের উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। আর লিখিতভাবে সেই অভিযোগ সকরেই পদত্যাগ করেছেন তিনি।

একইসঙ্গে তিনি দল ছাড়তে চান বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।১৯ সালে লোকসভা ভোটে জেতালাম দলকে, তারাই আজ ব্রাত্য। বরং সিপিএমের থেকে আসা লোকজন এখন সাংসদের কাছের মানুষ। আমরা যে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। সেই সিপিএমের লোকজন এখন দলের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে ।’ তাই বাধ্য হয়েই জেলা সহসভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।

পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস কটাক্ষ করে জানান, “এটা বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।সাগরদিঘী উপনির্বাচনের পর সিপিএম ও বিজেপি যে একত্রিত হয়ে গিয়েছে একথা আমরা বারংবার বলেছি। আজ সে কথাই বিজেপি-র জেলা সহসভাপতি শ্যামল রায় বলছেন।

বিজেপির জেলা মুখপাত্র সৌম্যরাজ বন্দোপাধ্যায় বলেন;খুবই হঠকারী সিদ্ধান্ত। যদিও কারও জন্য কিছু আটকে থাকে না। তবে এই সিদ্ধান্ত না নিলেই ভালো হত। দল বড় হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে দ্বন্দ্ব হতেই পারে। সেটা আলোচনা করে দলের ভিতরেই মিটিয়ে নেওয়া উচিত ছিল।

আরও পড়ুন ::

Back to top button