‘জবলেস জুসওয়ালা’তে মজেছে বর্ধমানবাসী
১৪ বছর ধরে একের পর এক কোম্পানি বদল, কোথাও থাকছেনা চাকরি। শেষ যে কোম্পানিতে কাজ পেয়েছিলেন তারাও কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে এগিয়ে এসেছিল।
তাই আর নতুন কোনো কোম্পানি না খুঁজে বের করলেন এক নতুন ব্যবসার উপায়। দুই বন্ধু মিলে শুরু করলেন নতুন ব্যবসার রোজগারের পথ।
আজ আমরা কথা বলছি পূর্ব বর্ধমানের বড়নীলপুরের দুই যুবকের। জবলেস জুসওয়ালা’ নাম শুনলেই আপনি অবাক হবেন। শহরের এমনকি দরকারে বাইরে থেকে আসা মানুষজনেরও ভালো মতই নজর টেনেছে। অনেকেই এমন অভিনব নাম দেখে স্রেফ কৌতুহলে এখানে শরবত খেতে ঢুকছেন। তবে শরবত পান করার পর সকলেরই ভালো লেগে যাচ্ছে।
এই নতুন তৈরি শরবত দোকানে পাওয়া যায় মোজিতো, মশালা সোডা, মশালা কোল্ড্রিঙ্কস, ম্যাঙ্গো জুস ইত্যাদি। মোজিতোর দাম ৪০ টাকা, ম্যাঙ্গো জুস ও মশালা সোডা ৩০ টাকা। সপ্তাহের ৭ দিনই দোকান খোলা থাকছে। সকাল ৯ টা থেকে রাত্রি ৯ টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে। বর্ধমান পুলিশ লাইনের কাছে ঘোড়দৌড়চট্টিতে গেলে এই শরবতের দোকানটি নজরে পড়বে।
‘জবলেস জুসওয়ালা’র দুই মালিক অভিজিৎ গুহ ও অপু সরকার বলেন;চোদ্দ বছর ধরে দু’জনেই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় চুটিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু এক মাসে আগে হঠাৎই তাঁদের সংস্থা ছাঁটাই শুরু করে। তাতে তাঁদের দু’জনেরও চাকরি গিয়েছে।
তারপরই তাঁরা আর নতুন চাকরি না খুঁজে এই শরবতের ব্যবসা শুরু করেন। যেহেতু চাকরি হারিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেছেন তাই দোকানের নাম ‘জবলেস জুসওয়ালা’! তাদের ইচ্ছা আগামী দিনে এই শরবতের দোকানকে আরও বড় করে তোলা।