অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের হাল ফেরানোর দাবি অভিভাবকদের
জং ধরেছে টিনের চালে, বৃষ্টি হলে ভরসা একমাত্র ত্রিপল! মাটির দেওয়ালেও ধরেছে ফাটল, নেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা। সবমিলিয়ে এমনই দুরাবস্থা মধ্যে চলছে মামুদপুর কেন্দ্রের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র।
পাড়ায় পাড়ায় সুরাহার আর্জি জানিয়েছেন শিশুশিক্ষা ও পুষ্টি কেন্দ্রে পড়তে আসা বাচ্চাদের অভিভাবকরাও। তাঁর কথায়, ‘টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে এবং তা দিয়ে জল পড়ে। যে কারণে বৃষ্টি হলে আসতে চায়না অনেক বাচ্চাই।’ সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, ‘মাটির দেওয়ালেও ফাটল ধরেছে, যে কারণে বাচ্চাদের পড়তেও ভয় লাগে।
এখন এই সব গুলি মেরামত করে দিলে খুব ভাল হয়।’ এই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর কথা অনুযায়ী, বর্তমানে মা ও শিশু মিলিয়ে মোট ৩০ জনের রান্না হয় এই শিশু শিক্ষা ও পুষ্টিকেন্দ্রটিতে।
বর্তমানে কেন্দ্রটির হাল বেহাল হওয়ার কারণে রান্না করতে এবং রান্নার সামগ্রি মজুত রাখতেও সমস্যা হচ্ছে তাঁদের। বর্তমানে ওনাদের একটাই দাবি যে আসন্ন বর্ষার আগে যদি তাঁদের এই সেন্টার সারিয়ে দেওয়া হয় তাহলে ওনারা উপকৃত হবেন।
এই প্রসঙ্গে কদম সাঁতরা নামে এক অভিভাবক জানান যে এই সেন্টারের অবস্থা খুবই খারাপ, বাচ্চাদের নিয়ে আসতেও ভয় লাগে। মেমারির দলুইবাজার এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মামুদপুর কেন্দ্রের ১৪০/৪০৪ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির এই বেহাল অবস্থা জানিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে চিঠির মাধ্যমে আর্জিও জানিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী আরতী মন্ডল।