বর্ধমান

বর্ষবরণে এবার হাতে আঁকা বাংলা নববর্ষের ক্যালেন্ডার; চমক বর্ধমানের

বর্ষবরণে এবার হাতে আঁকা বাংলা নববর্ষের ক্যালেন্ডার; চমক বর্ধমানের

বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ।আর এই তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম হলো বর্ষবরণ।আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই বাঙালির প্রিয় নববর্ষ। চৈত্রের শেষে বৈশাখকে বরণ করতে প্রস্তুত সকলেই। ইংরেজি নতুন বছরের ক্যালেন্ডারের চাহিদা থাকে নানা কাজকর্মের জন্য , কিন্তু অন্য দিকে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান পুজো পার্বণ কিংবা উৎসবের জন্য আজও বাঙালিদের প্রয়োজন বাংলা নতুন বছরের ক্যালেন্ডার।

পয়লা বৈশাখ আসছে আর নতুন খাতা হবেনা এটা কি হয়।এরমধ্যেই নববর্ষকে ঘিরে ব্যবসায়ী মহলে শুরু হয়েছে ব্যস্ততা । পয়লা বৈশাখ মানেই নতুন ক্যালেন্ডার আর মিষ্টি দিয়ে শুভেচ্ছা আদান প্রদান গ্রাহকদের সঙ্গে। বিভিন্ন প্রেসে ক্যালেন্ডার ছাপার ব্যস্ততা ওঠে চরমে । আর সেই সময়ই এবার পুরোপুরি হাতে আঁকা বাংলা নববর্ষের ক্যালেন্ডার তৈরির কাজ করছে বর্ধমান শহরের বিধানপল্লীর চিত্র কুটিরের শতাধিক ছাত্রছাত্রী। দিনরাত এক করে ওই ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের পরিবেশ সচেতনতার ভাবনাকে হাতে তৈরি ক্যালেন্ডারে তুলে ধরছে।

এর আগে হাতে লেখা পুজোবার্ষিকী এই জেলাতেই নজর কেড়েছে , ধরে রেখেছে তাদের ঐতিহ্য, আর এবার হাতে আঁকা ক্যালেন্ডার , এই প্রসঙ্গে মেমারির পাল্লারোড পল্লীমঙ্গল সমিতির সম্পাদক সন্দীপন সরকার জানান, ‘‘এই ক্যালেন্ডার তৈরিতে ভেষজ রঙ ব্যবহার হচ্ছে । এখনও পর্যন্ত শতাধিক ক্যালেন্ডার তৈরি হয়েছে , অনলাইনে এই হাতে আঁকা ক্যালেন্ডারের চাহিদাও তুঙ্গে। পরের বার বাণিজ্যিকভাবে এটি তৈরির ভাবনা রয়েছে আমাদের, যাতে শিল্পীরা কিছু আয় করতে পারে। এই ক্যালেন্ডারের বড়ো বিশেষত্ব হল প্রতিটি মাসের পাতায় থাকবে কোনও না কোনও শাকসবজির বীজ লুকোনো। মাস ফুরালে সেই ফেলে দেওয়া পাতা থেকেই জন্ম নেবে নতুন গাছ।’’

এ ছাড়াও এই বিষয়ে চিত্র কুটিরের শিক্ষিকা সুতপা রায় বলেন, ‘‘এ ধরনের ক্যালেন্ডার তৈরির ভাবনা পুরো নিজস্ব ও প্রথম । আমরা প্রত্যেকে ছবির মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতা মূলক বার্তা প্রদান করতে চাইছি।’’ এই ক্যালেন্ডার তৈরির কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সুইচ অন ফাউন্ডেশন। তাঁরা বর্ধমানের বাইরে কলকাতায় ও রাজ্য স্তরে এই ক্যালেন্ডারকে জনপ্রিয় করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন , আরও জানা যায় ভবিষ্যতে যাতে এই ভাবনা থেকেই শিল্পীদের কর্মসংস্থান এবং পরিবেশ সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া যায় তার জন্য আরো বৃহৎ আকারে উদ্যোগে নেওয়া হবে ।

আরও পড়ুন ::

Back to top button