হুগলী জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে ডাক তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পঞ্চায়েত ভোটের দিকে তাকিয়ে দলের বেশ কিছু জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে পর পর বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২০ এপ্রিল হুগলি জেলার দলীয় সাংসদ, বিধায়ক ও তৃণমূলের সাংগঠনিক নেতৃত্বকে নিয়ে কালীঘাটে মমতা বৈঠক করবেন। তবে তার আগে আরও কয়েকটি জেলার নেতৃত্বের সঙ্গেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করতে পারেন।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই একাধিক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি উত্তপ্ত হয়েছিল রিষড়া সহ হুগলি জেলার বেশ কিছু এলাকা। আবার এই হুগলী মানে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুন্তল ও শান্তনুর এলাকা। জানা গিয়েছে, ওই জেলার নেতাদের নিয়ে এই দুই ইস্যুতেই কথা বলবেন তৃণমূল নেত্রী। কথা হবে, ফুরফুরা শরিফ নিয়েও। তবে বৈঠক হবে কালীঘাটে। সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে হুগলি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফিরহাদ হাকিমকেও।
বৈঠক হবে আগামী ২০ তারিখ। দুপুর ২টোতে। তবে ওই দিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কর্মসূচি আছে জোড়াফুল শিবিরের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই তিনি উপস্থিত থাকতে নাও পারেন।
প্রসঙ্গত, কুন্তল-শান্তনু গ্রেফতার, রিষড়া কাণ্ড, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকের হাজতবাসের পরে হুগলী জেলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হবে। নওশাদ গ্রেফতারের পরবর্তী সময়ে বিশেষ নজর থাকছে ফুরফুরা ও দল সম্পর্কে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন তার আগে কী ভাবে লড়াই করতে হবে, সেই কৌশলই দিতে পারেন নেত্রী।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ‘দুর্নীতি’-কে হাতিয়ার করে বিরোধী বাম-বিজেপি উঠেপড়ে নেমেছে শাসক দলের জমি দখল করতে। বিশেষ করে, একাধিক জায়গায় সিপিএমের মিছিল-মিটিংয়ে লোক যে বাড়ছে, সেটা চোখে পড়ছে অভিজ্ঞ তৃণমূল নেতাদের। এই পটভূমিকাতেই হুগলির দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০ এপ্রিল বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য।
হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ছিলেন। যদিও ইতিমধ্যে তাঁদের দুজনকেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই অবস্থায় এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।