বর্ধমান

বধূ নির্যাতনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ গৃহবধূর, কাঠগড়ায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন

বধূ নির্যাতনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ গৃহবধূর, কাঠগড়ায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন

বধূ নির্যাতন নিয়ে আমাদের সংবিধানে কড়া আইন থাকলেও বাস্তবে এই আইন সম্পর্কে বহু মানুষ সচেতন নন। এখনো গ্ৰামেগঞ্জে গৃহবধূদের উপর চালানো হয় তীব্র মানসিক নির্যাতন। বর্তমানে গ্ৰামের মহিলারাও আর চূপ করে বসে নেই তারাও এগিয়ে আসছে প্রতিবাদ করতে।
স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন সহ ঘরের আলমারি ভেঙে গহনা চুরির অভিযোগ এনেছিলেন বধূ।

কলকাতার নরেন্দ্রপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে চুরি যাওয়া ওই গহনা উদ্ধার করতে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার কালীপাহাড়ি গ্রামে অভিযুক্তদের বাড়িতে হানা দিল পুলিশ। এদিন ভাতার থানার পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তবে শেষপর্যন্ত কোনও গহনা উদ্ধার হয়নি। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়।

ফিরোজা খান নামে ওই বধূর বাপের বাড়ি কলকাতার গড়িয়াহাট এলাকায়। তিনি জানান বছর তিনেক আগে তার সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল ভাতারের কালীপাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দা কৃষানু দে নামে এক যুবকের সঙ্গে। কৃষাণু বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন।

আলাপ থেকে প্রেম। তারপর বছর দুয়েক আগে ফিরোজার সঙ্গে কৃষাণুর বিয়ে হয়। বধূর জানিয়েছেন তিনি মুসলিম হলেও বাপের বাড়ির অমতেই কলকাতার কালীঘাটে মন্দিরে হিন্দু মতে কৃষাণুর সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

যদিও এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি কৃষাণুর পরিবার। ফিরোজা জানিয়েছেন বিয়ের পর তারা স্বামী স্ত্রী কলকাতায় ঘরভাড়া করে থাকছিলেন। ২০২০ সালের শেষের দিকের ঘটনা। কৃষাণু তার মায়ের অসুস্থতার কারণে বাড়ি চলে আসেন। তারপর স্ত্রীর কাছে যাননি।

২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথমদিকে ফিরোজা তখন কালীপাহাড়ি গ্রামে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেন স্বামীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবিতে। তবে তখন কৃষাণুর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পাননি ফিরোজা। তিনি ফিরে যান কলকাতায়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button