Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
ফুটবল

লোভী স্ত্রীকে যেভাবে ‘বোকা’ বানালেন হাকিমি

লোভী স্ত্রীকে যেভাবে ‘বোকা’ বানালেন হাকিমি

মাঠের ফুটবলে বরাবরই চাতুরতা দেখিয়ে আসেন আশরাফ হাকিমি। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের বোকা বানিয়ে দুর্দান্ত সব সাফল্যও এনে দেন এ ফুটবলার। সেই ট্যাকটিসই হয়তো বাস্তবজীবনে দেখালেন তিনি। তাতে রীতিমতো বোকাই বনেছেন তার সদ্য সাবেক স্ত্রী হিবা আবুক।

সৌদি আরবের টেলিভিশন চ্যানেল আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাকিমিকে ডিভোর্স দেওয়ার পর তার সম্পত্তির অর্ধেকটা দাবি করেছিলেন তার লোভী স্ত্রী হিবা আবুক। তবে মামলা কিছুদূর গড়াতেই জানা যায়, হাকিমির নামে তেমন কোনো সম্পদই নেই!

যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাসখানেক আগে এক মামলায় মুখোমুখি হন হাকিমি। ভুক্তভোগী আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ না জানালেও তদন্তের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে মামলা করে রাষ্ট্রপক্ষ। এখনো চলছে সেই মামলার তদন্ত।

হাকিমিকে নিয়ে এখনো মামলার কোনো রায় আসেনি। তবে বিচারের আগেই স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ভুক্তভোগীর পাশে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন আবুক। ডিভোর্সের মামলায় নিয়মানুযায়ী হাকিমির সম্পত্তির অর্ধেকটা দাবি করেন তিনি। আর এ বিষয়টির সমাধান করতে গিয়েই কোর্টের সামনে উঠে আসে অদ্ভুত এক বিষয়।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব কিছু খোঁজখবর নেওয়ার পর কোর্ট জানতে পেরেছে— হাকিমির তেমন কোনো সম্পদ নেই। ফুটবল কিংবা বিজ্ঞাপন থেকে হাকিমির যত আয়, তার প্রায় পুরোটাই তার মায়ের নামে করে রেখেছেন তিনি।

পিএসজিতে মাসে এক মিলিয়ন ইউরো উপার্জন করেন হাকিমি। এই উপার্জনের ৮০ শতাংশই ডিপোজিট করা আছে তার মায়ের নামে। চমকে যাওয়ার মতো তথ্য হলেও এটাই সত্যি যে, আইনগতভাবে মরক্কান তারকার কোনো সম্পত্তি, গাড়ি-বাড়ি কিংবা অলংকার বলতে কিছুই নেই। এমনকি প্যারিসের অন্যতম ধনী এই ফুটবলারকে যে কোনো পছন্দের জিনিস কিনতে হলেও মায়ের থেকে অনুমতি নিতে হয়। ইচ্ছে করেই নিজের নামে কোনো সম্পত্তি রাখেননি তিনি।

হাকিমি ও আবুকের প্রেম শুরু হয় ২০১৮ সালে। ২০২৩ সালে এসে ভাঙে সেই সম্পর্ক। আবুক স্পেনের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল।

মাসখানেক আগে স্পেনের এক নারী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন হাকিমির নামে। অভিযোগ মতে, পরিবারের অনুপস্থিতিতে সেই নারীকে বাড়িতে ডেকে শ্লীলতাহানি করেন মরক্কান ডিফেন্ডার। এই অভিযোগের তদন্ত এখনো চলমান।

আরও পড়ুন ::

Back to top button