মালদা

প্রাচীন রীতি মেনে বৈশাখ মাসের শুরুতেই মালদায় শুরু হল ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা অনুষ্ঠান

প্রাচীন রীতি মেনে বৈশাখ মাসের শুরুতেই মালদায় শুরু হল ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা অনুষ্ঠান

জেলার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত গম্ভীরা উত্‍সব। প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো প্রাচীন রীতি মেনে বৈশাখ মাসের শুরুতেই পুরাতন মালদায় শুরু হল ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা অনুষ্ঠান। হিন্দুশাস্ত্র মতে চামুণ্ডা কালী এবং বুড়ি কালী পুজোর পাশাপাশি গম্ভীরা নাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই গম্ভীরা অনুষ্ঠানের মশাল নাচকে ঘিরে পুরাতন মালদা পুরসভার বাচামারি এলাকায় ভক্তদের উপচে পড়ল ভিড়।

গম্ভীরা নাচ ও গান এবং পূজার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন পুরাতন মালদা পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ, সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শত্রুঘ্ন সিনহা বর্মা সহ বিশিষ্টজনেরা। প্রাচীন নিয়ম মেনে এই গম্ভীরা অনুষ্ঠানে হরিলুটের মাধ্যমে প্রসাদ বিলি করেন থাকেন ভক্তেরা।আর এদিনের গম্ভীরা নাচকে কেন্দ্র করে বাচামারি দুই প্রান্তে, দুই কালী মন্দিরে প্রচুর মহিলা ভক্তদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কয়েকশো বছর ধরে এই পরম্পরা চলে আসছে। আয়োজন করা হয় বাতাসা হরিলুটের। সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রবীণদের কথায়, গম্ভীরা হল শিবের আরাধনা। তবে উত্‍সবের অন্যতম অংশ চামুণ্ডা এবং বুড়ি কালীর মুখা নৃত্য।

প্রতি বছর মশাল নাচের মাধ্যমে এই উত্‍সবের সূচনা হয় এবং উত্‍সব শেষ হয় চামুণ্ডা ও বুড়ি কালীর মুখা নৃত্যের মাধ্যমে। কালের নিয়মে এই লোক সংস্কৃতির অনেক ধারা বিলুপ্তপ্রায়। তার মধ্যেও গম্ভীরার প্রাচীন প্রথাকে বাঁচিয়ে রেখেছে পুরাতন মালদা শহরের বেশ কিছু এলাকা।

বাচামারি তার মধ্যে অন্যতম। বাচামারি এলাকায় সেই মশাল নৃত্যে মেতে উঠেছিল আট থেকে আশি। এলাকার মানুষজন মনে করেন, এদিন মা কালীর দুই রূপ, বুড়ি কালী ও চামুণ্ডা কালীর মিলনের দিন। পাশাপাশি পাড়ার দুই প্রান্তে থাকা দুই বোনের মন্দির। দুই বোনের মিলন উত্‍সবের সাক্ষী হতে স্থানীয় মানুষজনের পাশাপাড়ি ভিড় করেছিলেন দূর থেকে আসা অনেকেই।

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শত্রুঘন সিনহা বর্মা জানান, বর্তমানে গম্ভীরা সংস্কৃতি বিলুপ্তর পথে তাই আমরা সেই লোকসংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যেই প্রতি বছর এই গম্ভীরা অনুষ্ঠান পালন করে থাকি। উত্‍সবে যোগ দিতে বাইরে থাকা এলাকার মানুষজনও ঘরে ফিরে আসেন। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলে মিলেমিশে গম্ভীরা উত্‍সবের আনন্দে মেতে উঠেছেন। গম্ভীরা উত্‍সবকে ঘিরে জন সাধারণের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।

আরও পড়ুন ::

Back to top button